মাস্কের পায়ে চুম্বন ট্রাম্পের! সরকারি ভবনের টিভিতে বিতর্কিত ভিডিয়ো, শোরগেল আমেরিকায়

AI video of Trump kissing Elon Musk's feet

ওয়াশিংটন: গত সোমবারের ঘটনা৷ আমেরিকার হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (HUD) ভবনে একটি অদ্ভূত ও অস্বাভাবিক ভিডিয়ো বারবার প্রদর্শিত হতে থাকে। ভিডিয়োটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দিয়ে তৈরি৷ ওই ভিডিয়োয় দেখা যায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলন মাস্কের পায়ে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন৷ ভিডিয়োটির শিরোনাম দেওয়া হয় “লং লিভ দ্য রিয়েল কিং,” যা ট্রাম্পের এক ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টের প্রতিধ্বনি। ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “লং লিভ দ্য কিং!”

Advertisements

এই ভিডিওটি HUD ভবনের বিভিন্ন মনিটরে বারবার ফুটে উঠতে থাকে৷ যা দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়৷ এটি কোনও হ্যাকিংয়ের ঘটনা? নাকি স্যাটায়ার! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে। একদিকে, অনেকেই এটি একটি হ্যাকিংয়ের ঘটনা বলে মনে করছেন, আবার অন্যদিকে কেউ কেউ এটিকে একটি পরিকল্পিত স্টান্ট বা বিদ্রূপমূলক ভিডিয়ো হিসেবে মনে করছেন৷ 

   

HUD-এর মুখপাত্র কেসি লভেট এক বিবৃতিতে জানান, “এটি একটি অপচয়, যেখানে করদাতাদের অর্থ এবং সরকারি সম্পদ নষ্ট করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”

অন্যদিকে, ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্কের ওপর এটি একটি বিদ্রূপমূলক মন্তব্য হিসেবে ধরা যেতে পারে। ইলন মাস্ক, যিনি বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, ট্রাম্পের একটি প্রধান মিত্র হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে ট্রাম্প এবং মাস্কের সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। মাস্ক তার প্রশাসনিক পদে আসার পর থেকে অনেক ফেডারেল এজেন্সিতে তাঁর প্রভাব বৃদ্ধি করেছেন, এবং তিনি সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

 

Advertisements

এছাড়া, মাস্কের সাম্প্রতিক প্রস্তাব, যেখানে তিনি বলেছেন, “সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সপ্তাহে পাঁচটি অর্জন জমা দিতে হবে, না হলে তাঁদের পদত্যাগ মনে করা হবে,” তা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় উঠেছে।

যদিও এই AI ভিডিয়োটি স্যাটায়ার হিসেবে তৈরি হয়েছিল, তবে এটি ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ক এবং মাস্কের প্রশাসনিক প্রভাবের প্রতি একধরনের মন্তব্য হিসেবে দেখা যেতে পারে। এই ভিডিয়োটি সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে৷ এই ঘটনা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মাস্কের আধিপত্য এবং তাঁর শীর্ষ পদে থাকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

এটি স্পষ্ট যে, ভিডিয়োটি সরকারের কার্যক্রম ও নীতির প্রতি মানুষের মনোভাব এবং মাস্কের সরকারের প্রতি ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে নতুন ধরনের আলোচনা সৃষ্টি করেছে।