মার্কিন প্রেসিডেন্টের পর এবার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েল প্রধান মন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্ত না করলে যুদ্ধ বিরতি প্রত্যাহার করা হবে। হামাস কে শনিবার অব্দি সময় বেঁধে দিলেন ইজরায়েলি প্রধান মন্ত্রী। হামাসের পাল্টা অভিযোগ যুদ্ধ বিরতি চুক্তির অনেক শর্ত লঙ্ঘন করেছে ইজরায়েল। শক্তি চুক্তি হওয়ার পরেও ইজরায়েলি সেনার গুলিতে প্রাণ গেছে বহু প্যালেস্টাইন সেনার।
ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এবং সেনা এই পণবন্দি নাগরিকদের উদ্ধার করতে একযোগে কাজ করছে। তবে গাজার পরিস্থিতি এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের হাতে আটক হওয়া নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে। হামাস এদের আটক করার পর নিজেদের রাজনৈতিক দাবিকে সামনে রেখে শর্তে মুক্তি চেয়েছে। তারা ইজরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের জন্য এই পণবন্দিদের জীবনকে হুমকির মুখে রেখেছে। এর আগে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন শনিবার দুপুর ১২ টার মধ্যে যদি পনবন্দিরা ফিরে না আসে তবে ইজরায়েল- হামাস যুদ্ধ বিরতি তুলে নেওয়া হবে। এবার সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে যুদ্ধ বিরতি প্রত্যাহারের বিবৃতি দিলেন ইজরায়েলি প্রধান মন্ত্রী।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গাজা উপত্যকার কাছে ইজরায়েলি বসতিগুলোতে ঢুকে পড়ে এবং ৭৬ জন কে পণবন্দি করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দাবি করেন যে পুনর্গঠনের জন্য গাজা দখল করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরে তিনি শনিবার অব্দি সময় দেন হামাস কে পণবন্দিদের মুক্ত করার জন্য, “নাহলে নরক নেমে আসবে”। মঙ্গলবার চার ঘন্টার বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বিবৃতিকে স্বীকৃতি জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। গাজার ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেবার কথাও তিনি বলেছেন জর্ডন আর মিশরকে।
২০২৩ সালে হামাসের ইজরায়েলে আক্রমের পর থেকেই যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছিলো এবং ২৫১ জনকে জিম্মি (পণবন্দি )বানায় হামাস। এর ই প্রতিশোধ নিতে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায় ইজরায়েল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী হামাসের তরফ থেকে পণবন্দীদের নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা আছে। তবে কি আবারো যুদ্ধের পথেই হাঁটবে হামাস তা বলবে সময়।