জঙ্গি সংগঠনে মহিলা সরবরাহকারী বাগদাদির স্ত্রীকে ফাঁসির সাজা

‘অপরাধের ক্ষমা নাই’। ইসলামিক স্টেট (আইএস ISIS) জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদির স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরাকের আদালত। মৃত্যুদণ্ডের আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বহু…

‘অপরাধের ক্ষমা নাই’। ইসলামিক স্টেট (আইএস ISIS) জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদির স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরাকের আদালত। মৃত্যুদণ্ডের আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বহু মহিলাকে আটকে রেখে জঙ্গি শিবিরে চালান করা।

রয়টার্স জানাচ্ছে, “মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ইয়াজিদি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য ফৌজদারি আদালত বাগদাদির স্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর সাজা ঘোষণা করেছে।”

   

আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে কাজ করা এবং ইয়াজিদি নারীদের নিজ বাড়িতে আটকে রাখার জন্য তার বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা করা হয়। ইরাকের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বলেছে, ইসলামিক স্টেটের সদস্যরা ইয়াজিদি মহিলাদের অপহরণ করেছিল। অপহরণের পর মসুলে বাগদাদির স্ত্রী তাদেরকে বাড়িতে আটকে রেখেছিল।

‘পানি পানি…হে জগন্নাথ এভাবে জানটা নিলে’, রথযাত্রা যেন মরণযাত্রা

বিবিসি’র খবর, ২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ দখলে নিয়ে সেখানে খিলাফত (ধর্মরাজ্য) ঘোষণা করে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি প্রধান বাগদাদি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বিশেষ অভিযানে বাগদাদি খতমে বলে দাবি করা হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অঞ্চলে আধিপত্য ধরে রেখেছিল বাগদাদি।

ধর্মরাজ্য স্থাপনের নামে জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা বাগদাদির নির্দেশে একের পর এক নাশকতা ও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। আইএস জঙ্গি সংগঠন নতুন করে শাখা ছড়াচ্ছে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট।