DENMARK: গ্রিনল্যান্ডের ৮৫% জনগণ যুক্তরাষ্ট্রে যোগদান বিরোধী

সম্প্রতি বিতর্ক উসকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড আমেরিকার অংশ হবে’। এই নিয়ে বিস্তর চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে এরই মাঝে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের বিদেশ…

trump vs greenland

সম্প্রতি বিতর্ক উসকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড আমেরিকার অংশ হবে’। এই নিয়ে বিস্তর চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে এরই মাঝে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডকে নিয়ে যে পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এসেছে, সেটি মোটেও ভালো নয়। এটা নিশ্চিত ভাবেই বাস্তবায়িত হবে না। আর সেই আশঙ্কা এবার আরও জোরাল হল।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, ‘এই দ্বীপটি বিক্রয়ের জন্য নয়। বরং এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার গ্রিনল্যান্ডবাসীর। গ্রিনল্যান্ডের মানুষই ঠিক করবেন, তারা কী চান’।

   

সমীক্ষা সংস্থা পোলস্টার ভেরিয়ান সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডে একটি জনমত সমীক্ষা করেছে। ডেনমার্কের(Denmark) পত্রিকার অনুরোধে তারা এই সমীক্ষা চালায়। সেখানে গ্রিনল্যান্ডের মানুষদের প্রশ্ন করা হয়, তারা ডেনমার্কের(Denmark) অংশ হয়েই থাকতে চান, নাকি অ্যামেরিকার অংশ হতে চান। দেখা গেছে, গ্রিনল্যান্ডের ৮৫ শতাংশ মানুষ অ্যামেরিকার অংশ হতে চান না। তারা যেমন আছেন, তেমনই থাকতে চান। মাত্র ৬ শতাশ মানুষ চান অ্যামেরিকার অংশ হতে। ৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই মাসের প্রথম দিকে বলেছিলেন যে, অ্যামেরিকা এবং ভূরাজনৈতিক নিরাপত্তার জন্য ডেনমার্ককে(Denmark) এই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে। এরপর তিনি জানান, গ্রিনল্যান্ডের ৫৭ হাজার মানুষ অ্যামেরিকার অংশ হতে চান। কিন্তু বর্তমানে ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের মানুষের জনমত সমীক্ষার তথ্য মিলছে না।

অন্যদিকে ডেনমার্ক(Denmark) জানিয়েছে, তারা গ্রিনল্যান্ডে সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য ১৪.৬ বিলিয়ন ক্রাউন (২.০৪ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করবে। যা গ্রিনল্যান্ডের সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করার জন্য করা হবে।

গ্রিনল্যান্ড – যার ভূমির পরিমাণ মেক্সিকোর চেয়ে বড় এবং জনসংখ্যা (৫৭,০০০) – ২০০৯ সালে ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন লাভ করে, যার মধ্যে স্বাধীনতা ঘোষণা করার অধিকারও রয়েছে, যা একটি গণভোটের মাধ্যমে সম্ভব।