শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই কম্পনে (Earthquake) কেঁপে উঠল পাকিস্তান। রিখটার স্কেলে ৪.৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিট নাগাদ। কম্পনের উৎসস্থল ছিল করাচির কাছাকাছি, আনুমানিক অবস্থান ২৬.১১° উত্তর অক্ষাংশ ও ৬৩.৭৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অনেক সংবাদ সূত্রের দাবি অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বালোচিস্তানের পাসনি শহরের প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে। এই অঞ্চলটি বরাবরই ভূকম্প প্রবণ। যদিও কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত, স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের টেকটোনিক প্লেটের অবস্থানই এরকম কম্পনের জন্য দায়ী। তৎক্ষণাৎ কিছু গুজব ছড়াতে শুরু করে যে এটি কোনও মানবসৃষ্ট পরীক্ষার ফল, যেমন পারমাণবিক পরীক্ষার সম্ভাবনা, তবে এই ধরণের দাবির কোনো প্রমাণ নেই।
বিগত এক সপ্তাহে ৪ মাত্রার বেশি কম্পন এটি চতুর্থ কিনা, তা নিয়ে দ্বিধা থাকলেও সরকারি ভূতাত্ত্বিক সংস্থাগুলি জানিয়েছে, পাকিস্তানে অন্তত দু’টি ভূমিকম্প এবং আফগানিস্তান সীমান্তে একটি কম্পন এই সময়ের মধ্যে নথিভুক্ত হয়েছে।
পাকিস্তানে এই ভূমিকম্প এমন এক সময়ে ঘটল যখন আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনৈতিক চাপ, সন্ত্রাসবাদের ছায়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ—সব মিলিয়ে চরম অস্থির পরিস্থিতি চলছে।
অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে এই ভূমিকম্পকে তুলনা করছেন ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা ‘এয়ার স্ট্রাইক’-এর সঙ্গে। ২০১৬ সালে উরি সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গিহানার প্রতিশোধ নিতে ভারতের সেনা পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে অভিযান চালায়। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার বদলা নিতে হয় এয়ার স্ট্রাইক। আর এবার যেন প্রকৃতিই পাকিস্তানের উপর চালাল স্ট্রাইক, মজার ছলে এমন মন্তব্য করেছেন বহু নেটিজেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। যেহেতু ভূমিকম্পের পর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা আফটারশকের সম্ভাবনা থাকে, তাই স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।