ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ, ২০২৫) তিব্বতে (Tibet) তিনটি ভূমিকম্প (Earthquake) আঘাত হেনেছে। সর্বশেষটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৩। এটি দুপুর ২:০৭:২২ (IST)-এ ১০ কিলোমিটার গভীরতায় ঘটেছে। অবস্থান: অক্ষাংশ ২৮.৯৬ উত্তর, দ্রাঘিমাংশ ৮৭.৪৮ পূর্ব, তিব্বত। এনসিএস জানায়, অগভীর গভীরতার কারণে পরাঘাতের (Aftershock) সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে সকাল ৮:২৮:৫৬ (IST)-এ ৩.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এটিও ১০ কিলোমিটার গভীরতায় ঘটে। অবস্থান: অক্ষাংশ ২৮.৩৭ উত্তর, দ্রাঘিমাংশ ৮৭.৩১ পূর্ব, তিব্বত। দিনের প্রথম ভূমিকম্পটি রাত ১:৪২:২৫ (IST)-এ ঘটে, মাত্রা ৪.০। অবস্থান: অক্ষাংশ ২৮.০৯ উত্তর, দ্রাঘিমাংশ ৮৭.৬৫ পূর্ব, গভীরতা ১০ কিলোমিটার, তিব্বত।
এই অগভীর ভূমিকম্পগুলো গভীর ভূমিকম্পের তুলনায় বেশি ক্ষতিকর। পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছে শক্তি নির্গত হওয়ায় মাটির কম্পন তীব্র হয়, যা কাঠামোর ক্ষতি ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ায়। গভীর ভূমিকম্পের শক্তি পৃষ্ঠে পৌঁছানোর আগে হ্রাস পায়। তিব্বতীয় মালভূমি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের জন্য ভূমিকম্পপ্রবণ। তিব্বত ও নেপাল এই ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থিত, যেখানে নিয়মিত ভূমিকম্প হয়। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই টেকটনিক উত্থান হিমালয়ের শৃঙ্গগুলোর উচ্চতা পরিবর্তন করতে পারে।
সিসমোলজিস্ট মারিয়ান কারপ্লাস আল জাজিরাকে বলেন, “ভূমিকম্প সম্পর্কে শিক্ষা ও ভূমিকম্প-প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ জনগণ ও কাঠামোকে রক্ষা করতে পারে। পুরোনো ভবন সংস্কারে অর্থায়নও জরুরি।” টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভূতত্ত্ববিদ আরও জানান, “ভূমিকম্পের পূর্বাভাস সম্ভব নয়। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তিব্বতে ভূমিকম্পের কারণ ও প্রভাব ভালোভাবে বোঝা যেতে পারে।”
একদিনে তিনটি ভূমিকম্প তিব্বতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের ভূমিকম্পপ্রবণতা বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।