২০১৯য়ের তুলনায় ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বেড়েছে তৃণমূলের আসন সংখ্যা, বাড়ল মহিলা সাংসদও। সপ্তদশ লোকসভায় জোড়-ফুলের প্রতীকে লোকসভায় পৌঁছেছিলেন ৯ জন মহিলা সাংসদ। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মোট ৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে তৃণমূল মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ জন। এঁদের মধ্যে ১১ জনই জয় পেয়েছেন। পরাজিত হয়েছেন কেবলমাত্র বিষ্ণুপুর থেকে লড়াই করা সুজাতা মণ্ডল।
সংসদে পাস হয়েছে ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ আইন। তার আগে থেকেই ওই শতাংশের বেশি মহিলা প্রার্থী দিত তৃণমূল। গর্বের সঙ্গে সেকথা ঘোষণাও করেছিলেন তৃমমূল নেত্রী। এবারও সেই ধারা বজায় ছিল তৃণমূলের।
এক নজরে এবার তৃণমূলের জয়ী মহিলা প্রার্থীরা-
বীরভূম- শতাব্দী রায়
বর্ধমান পূর্ব- শর্মিলা সরকার
কৃষ্ণনগর- মহুয়া মৈত্র
আরামবাগ- মিতালী বাগ
হুগলি- রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
উলুবেড়িয়া- সাজদা আহমেদ
মেদিনীপুর- জুন মালিয়া
বারাসত- কাকলি ঘোষ দস্তিদার
কলকাতা দক্ষিণ- মালা রায়
যাদবপুর- সায়নী ঘোষ
জয়নগর- প্রতিমা মণ্ডল
এই ১১ জন জয়ী তৃণমূল মহিলা সাংসদের মধ্যে বড় চমক মহুয়া মৈত্র। সংসদে ঘুষের বদলে প্রশ্নকাণ্ডে লোকসবা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারপরও মহুয়ার লড়াকু মনোভাবের উপর ভরসা রেখেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কৃষ্ণনগর থেকে পের জিতে সেই আস্থার মর্যাদা রেখেছেন মহুয়া। ৬ লাখের বেশি ভোটে জিতে ফের সংসদে পা রাখবেন তিনি।
মওকা বুঝেই মোদীর কাছে দাবি-দাওয়া শুরু চন্দ্রবাবুর!
মহুয়া ছাড়াও পুরনোদের মধ্যে শতাব্দী রায়, মালা রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সাজদা আহমেদ, প্রতিমা মণ্ডলরা আবারও জিতে সাংসদে বসার ছাড়পত্র পেয়েছেন।
শিয়ালদহ শাখার রেল যাত্রীদের জন্য ঘোর বিপদ
প্রথমবার জিতেই বাজিমাত করেছেন, পাঁচ জন। এঁরা হলেন, বর্ধমান পূর্বের শর্মিলা সরকার, আরামবাগের মিতালী বাগ, হুগলি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেদিনীপুর থেকে দিলীপ ঘোষের মতো হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থীকে হারানো জুন মালিয়া, যাদবপুর থেকে জয়ী সায়নী ঘোষ।
উল্টোদিকে এ রাজ্য থেকে বিজেপির প্রতীকে জিতেছেন ১২ জন। এঁদের মধ্যে একজনও মহিলা নেই।