Militant Zia: নিশানায় দুই বাংলার ‘নাস্তিক’ লেখকরা! ‘জঙ্গি’ মেজর জিয়াকে অভিযোগ মুক্ত করবে ইউনূস সরকার?

লক্ষ্য বিজ্ঞানভিত্তিক লেখক, নাস্তিক-যুক্তিবাদীদের খুন। বাংলাদেশে (Bangladesh) একাধিক মুক্তমনা লেখকদের খুনে জড়িত এবিটি জঙ্গি সংগঠনটির মূল নেতা মেজর জিয়াকে ওরফে মিলিট্যান্ট জিয়া (militant Zia) মোস্ট…

Terror alert Militants activity from nepal

লক্ষ্য বিজ্ঞানভিত্তিক লেখক, নাস্তিক-যুক্তিবাদীদের খুন। বাংলাদেশে (Bangladesh) একাধিক মুক্তমনা লেখকদের খুনে জড়িত এবিটি জঙ্গি সংগঠনটির মূল নেতা মেজর জিয়াকে ওরফে মিলিট্যান্ট জিয়া (militant Zia) মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা থেকে মুক্ত করবে ইউনূস সরকার? (Will militant Zia alias Major Zia, identified as a militant leader in Bangladesh, be acquitted of charges?)

ঢাকার সংবাদমাধ্যমের খবর, মেজর জিয়া গোপন স্থান থেকে ফোনে কথা বলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। দীর্ঘ সময় ধরে আত্মগোপনে মেজর জিয়া। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশ সরকার মেজর জিয়াকে শীর্ষ জঙ্গি নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে। এবিটি বা আনসার আল ইসলাম সংগঠনটি ভারত, বাংলাদেশ, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

   

জঙ্গি সংগঠনটির পুরনো নাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)। এটি নিষিদ্ধ তালিকায় ঢুকতেই নিজেদের নাম পাল্টে নেয়। এখন সেটি পরিচিত আনসার আল ইসলাম নামে। বাংলাদেশের জঙ্গি দমন শাখা (সিটিটিসি) আগেই জানিয়েছে, এই জঙ্গি সংগঠনটির বিস্তার পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে ছড়িয়েছে। ভারতে একাধিক এবিটি তথা আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সদস্য ধৃত।

Will militant Zia alias Major Zia, identified as a militant leader in Bangladesh, be acquitted of charges? গোপন স্থান থেকে মেজর জিয়ার ফোন!

বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদপত্র ‘ইত্তেফাক’ জানিয়েছে দীর্ঘ ১৪ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে আত্মগোপনে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত জিয়া ওরফে মেজর জিয়ার হদিস মিলেছে। সাতটি মামলা এবং জঙ্গির খাতা থেকে নাম কাটাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে  মেজর জিয়া।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) মেজর জিয়ার আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন জিয়া। আমার মক্কেল অভিযোগ করেছেন, তাকে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজর পদে ছিলেন জিয়া। তিনি আচমকা সেনাবাহিনী ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর  এবিটি জ়ঙ্গিদের সামরিক কায়দায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযুক্ত হন মেজর জিয়া।

‘সমকাল’ জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক পুলিশের খাতায় একজন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। আনসারউল্লাহ, জেএমবি, আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে তাকে বারবার দেখানো হয়েছে। জিয়াকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল শেখ হাসিনার সময়।

অভিজিৎ রায় খুনে ফাঁসির আসামী মেজর জিয়া (Will militant Zia alias Major Zia, identified as a militant leader in Bangladesh, be acquitted of charges?)

২০২১ সালে ঢাকার অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশি-আমেরিকান মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই হামলায় মারাত্মক জখম হয়েছিলেন অভিজিতের স্ত্রী রফিদা আহমেদ বন্যা। লেখক অভিজিৎ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া এবং আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনানের তথ্য পেতে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ইত্তেফাক জানিয়েছে, পলাতক মেজর জিয়া একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে জিয়া ওরফে মেজর জিয়া অডিও কলে দাবি করেন, ‘পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি। এভাবেই বিগত ফ্যাসিস্ট ভারতীয় দালাল সরকার জঙ্গি ট্যাগ ব্যবহার করে। তাদের সকল বিরোধী প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখেছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। লোকজনকে বাধ্য করে চার্জশিটে আমার নাম যুক্ত করা হয়েছে।’ তার আরও দাবি, ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় তাকে টার্গেট করা হয়েছিল। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে।

India Today জানিয়েছে, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জঙ্গি গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য  শিলিগুড়ি করিডোর (Siliguri Corrido) বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (WB Police)। পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে কয়েকজন ধরা পড়ে। কেরল, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলে অভিযান।

দার্জিলিং জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি করিডোর সঙ্কীর্ণ স্থানটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিকে দেশের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করেছে। পুলিশের দাবি, নাশকতার ছক বানচাল করা হয়। শিলিগুড়ি করিডোর  ‘চিকেনস নেক’ নামেও সুপরিচিত। প্রায় 20 কিলোমিটার প্রস্থ এবং 60 কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সহ এই অঞ্চলটি নেপাল, ভুটান, চিন ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের অতি নিকটে অবস্থিত। এই করিডোর কৌশলগত গুরুত্বের কারণে অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির কর্তৃপক্ষগুলি সতর্ক।

শাহাদাত গ্রুপ নামে পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় এবিটি জঙ্গিরা

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলাম (পূর্বতন আহসারুল্লাহ বাংলা টিম) নেটওয়ার্কের একাধিক সদস্য ধৃত বাংলাদেশ ও ভারতে। দুই দেশেই তদন্তে উঠে এসেছে, জঙ্গি সংগঠনটির ‘আস-শাহাদাত’ গ্রুপ বিশেষ সক্রিয়। এই জঙ্গি গ্রুপ তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই গ্রুপটি পার্শ্ববর্তী একটি দেশ হতে পরিচালিত হচ্ছে এবং এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ৮৫ থেকে ১০০ জন।

পানাগড় সামরিক ছাউনি এলাকায় সক্রিয় ছিল বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র হারেজ শেখ জঙ্গি সংযোগ অভিযোগে ধরা পড়ে। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে আনসার আল ইসলাম সংগঠনের সদস্য। পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফের তদন্তে উঠে আসে ওই ছাত্র ‘শাহাদাত’ সংশ্লিষ্ট। সামরিক ঘাঁটি পানাগড়েই জঙ্গি জাল ছড়ায় বাংলাদেশের আল ইসলাম।

Several members of the banned Bangladeshi organization Ansar Al Islam (formerly Ahsarullah Bangla Team) network have been arrested in Bangladesh and India. Investigations in both countries have revealed that the militant organization’s ‘As-Shahadat’ group is particularly active. This militant group is conducting recruitment activities by creating new members. This group is being operated from a neighboring country and the number of members of this organization is estimated to be 85 to 100.