অভিষেককে ‘পচা আলু’ আখ্যা দিয়ে বিজেপিতে যোগের গুঞ্জন উড়ালেন সুকান্ত মজুমদার

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে “পচা আলু” আখ্যা দিয়ে বলেন,…

why-should-we-accept-rotten-potato-sukanta-majumdar-abhishek-banerjee-bjp-joining"

short-samachar

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে “পচা আলু” আখ্যা দিয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে তাঁর উপস্থিতি দলের দুর্নীতির প্রতীক এবং দলের দুর্নীতির বড়ো প্রমাণ।

   

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। যে ধরনের দুর্নীতি তিনি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সব কিছু জানেন। আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমাদের দলে নিতে প্রস্তুত নই। কেন আমরা একটি পচা আলু গ্রহণ করব? তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে থাকা আমাদের জন্য USP (Unique Selling Proposition)। আমরা তাঁকে দেখিয়ে বলতে পারি যে চোরেদের প্রধান তৃণমূলেই রয়েছে।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন নাকচ করে বলেন, “বাজারে নতুন এক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যে আমি বিজেপিতে যোগ দেব। যদি কেউ আমার গলা কেটে দেয়, তবুও ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান আমার মুখে উঠবে।”

অভিষেক আরও বলেন, “যতদিন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা আমাদের সঙ্গে আছেন, ততদিন পর্যন্ত বিজেপির চক্রব্যূহ ভাঙা চলবে। যারা দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আর আমি ছিলাম সেই ব্যক্তি, যিনি মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে চিহ্নিত করেছিল, যাঁরা দলের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল।”

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে তাঁরা ভোটার তালিকা নিয়ে দুর্নীতি করছে এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাঁদের আঁতাত রয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার ভোটার তালিকা পরীক্ষা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। মমতা অভিযোগ করেন, “বিজেপি মিথ্যা ভোটারদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে নির্বাচন প্রভাবিত করেছে, এবং এখন তাঁরা সেই একই কৌশল পশ্চিমবঙ্গে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে।”

এখনো পর্যন্ত বিজেপি বা মমতার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে।