২২ অগাস্ট দমদম মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম (Mamata)। মমতা যাবেন কি যাবেন না এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল জল্পনা কল্পনা। সোমবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মমতা বলেছেন যে তিনি মোদীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করবেন না।
কিন্তু এর পিছনে কারণ কি তা তখন বোঝা যায়নি কিন্তু সান্ধকালীন সাংবাদিক বৈঠকে এর ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন এর পিছনে প্রধান কারণ যে প্রকল্পগুলি মোদী উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তার পরিকল্পনা করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয় এর জন্য টাকাও বরাদ্দ করেন মমতা এমনটাই দাবি করেছেন কুণাল। মুখপাত্রের মতে সামনেই ভোট তার আগে মোদী শুধু মাত্র রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এই প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করছেন।
দ্বিতীয়ত কুণালের মতে মমতা দিল্লিতে গিয়েছিলেন সাংবিধানিক পদের সম্মান রক্ষা করতে। কিন্তু সেখানে বিজেপির এক শ্রেণীর ক্যাডাররা নেতাজীর অবমাননা করে। আর তৃতীয়ত কুনাল কারণ দেখিয়েছেন ডবল ইঞ্জিন সরকার শাসিত রাজ্যে বাংলা এবং বাঙালিদের উপরে চরম নিগ্রহের ঘটনা। এই তিন কারণেই মমতা মোদীর মুখোমুখি হবেন না।
কুনালের মতে বিজেপি অপমানের রাজনীতি করছে সুভাষচন্দ্রকে অপমান করছে তাই তাদের অনুষ্ঠানে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানিও হতে পারে। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন চিঠির বয়ান থেকে শুরু করে পুরোটাই রাজনীতির খেলা এবং বিজেপি চায় মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করে বিজেপির লোক ঢুকিয়ে দিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে।
এই ধরণের রাজনীতি কুরুচিকর বলে উল্লেখ করেন কুণাল। স্বভাবতই কুনালের এই কারণ শুনে বিরোধী শিবিরে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। বিরোধীরা বলছে মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন যে প্রকল্পগুলি করেছিলেন সেগুলির আজ বেহাল দশা। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য। মাত্র ১৫ বছরেই এই হাল মেট্রো স্টেশনগুলোর।
ডুরান্ড সেমিফাইনালে ‘নর্থ-ইস্ট ডার্বি’ ভুলে টানা ফাইনালের লক্ষ্যে হাইল্যান্ডার্সরা
মমতা শুধুই কাট মানি খেয়েছেন এই প্রকল্পের থেকে এমনটাই অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। তবে কেন্দ্র রাজ্যের এই তরজা এবং তার পিছনে রাজনীতির খেলা যে শুধুই ভোটের স্ট্রাটেজি তা সমোলোচকরাও দাবি করছেন এবং বলছেন ভোট সবার দরকার কিন্তু উন্নয়ন কার হাত ধরে আসবে? কেন্দ্র না রাজ্য তা নিয়ে ধ্বন্দে রাজ্যবাসী।