চব্বিশে ফের তৃণমূলের বিপুল জয়। সবুজ ঝড়ে বঙ্গে বিজেপির ভরাডুবি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন পায় বিজেপি। এবার সেটা কমে ১২। জেতা ৮ আসনে খুইয়েছে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড। জেতার মুখে থাকা আরামবাগ আসনও হাতছাড়া হয়েছে। কেন ১৮ আসন ধরে রাখা গেল না? হেভিওয়েটরা কেন হারলেন? এই সব প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজছে বঙ্গ বিজেপি।
বঙ্গে বিজেপির বিপর্যয়ে ক্ষুব্ধ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য বিজেপির নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক জেলাগুলির থেকে রিপোর্ট তলব করলো বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। জেলা নেতৃত্বকে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে হারের কারণ।
Adhir Chowdhury: দিকভ্রান্ত অধীর! নিজের গড়ে হেরে এখন কী করবেন ভেবে আকুল
চব্বিশে লোকসভা ভোটে টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল ৩৫ আসন তো দূরে থাক, উনিশের আসনগুলিই ধরে রাখা গেল না। উত্তরবঙ্গেও আসন ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। আর দক্ষিণবঙ্গে তো সবুজ ঝড়। ধরাশায়ী বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির কাছে বড় বিড়ম্বনা দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হার। কোচবিহারে হারলেন নিশীথ প্রামাণিক। বাঁকুড়ায় সুভাষ সরকার।
একের পর এক হেভিওয়েট পদ্মপ্রার্থী এবার হেরেছেন। বর্ধমান দুর্গাপুরে হেরেছেন দিলীপ ঘোষ, আসানসোলে এস এস আলুওয়ালিয়া, কলকাতা দক্ষিণে দেবশ্রী চৌধুরীর, বারাকপুরে অর্জুন সিং, হুগলিতে লকেট। এর মধ্যে দিলীপ, দেবশ্রী ও আলুওয়ালিয়াকে এবার নতুন পিচে নামতে হয়। উনিশে জেতা সত্ত্বেও তাঁদের আসন বদল করে বিজেপি। নতুন আসনে লড়ে তিনজনেই হেরেছেন। কেন এমন ভরাডুবি? কারণ খুঁজতে কাঁটাছেড়া শুরু বিজেপির।