এপারের কাকদ্বীপ নাকি ওপারের সাতক্ষীরা কোথায় ডানা ঘূর্ণির আঘাত?

ওই এলো ঝড়। সাগরের একুল ওকুল দুকুল ঘূর্ণি (Cyclone Dana) ভয়ে কাঁপছে। স্থানীয়ভাবে ‘নোনা ভয়’ ছড়িয়েছে বঙ্গোপসাগরের দুই কুলে। এপারে নোনা জল, ওপারে নোনা পানি…

ওই এলো ঝড়। সাগরের একুল ওকুল দুকুল ঘূর্ণি (Cyclone Dana) ভয়ে কাঁপছে। স্থানীয়ভাবে ‘নোনা ভয়’ ছড়িয়েছে বঙ্গোপসাগরের দুই কুলে। এপারে নোনা জল, ওপারে নোনা পানি বাঁধ ভেঙে চাষের জমি নষ্ট হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২৩ অক্টোবর শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ তৈরি হবে এবং পরদিন ২৪ অক্টোবর সকালে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করবে। উপকূলে বাতাসের গতিবেগ থাকবে সম্ভাব্য ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেটা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে।

   

ডানা কোথায় আঘাত করবে?
নয়াদিল্লির মৌসম ভবন ও কলআলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ২৪ অক্টোবর উপকূলে বাতাসের গতিবেগ থাকবে সম্ভাব্য ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেটা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়ও হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় কোথা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে অথবা কোথায় এটির ল্যান্ডফল হবে সেটা এখনও (২১ অক্টোবর) পরিষ্কার নয়।

বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ আগেই জানিয়েছে ডানা ঘূর্ণি পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে ডানার সম্ভাব্য আক্রমণ স্থান হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকার পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪পরগমা ও উত্তর ২৪ পরগনার অংশ। আর বাংলাদেশে সরাসরি ঝড়ের আঘাতের সম্ভাবনা বেশি উপকূলের খুলনা, বরিশালে। চট্টগ্রাম উপকূলেও থাকছে সতর্কতা।

বাংলাদেশের আবহাওয়া বিশ্লেষকদের ধারণা,বুধবার দুপুরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। যে পথে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান যে পথে গেছিল কই পথে এবারের ঘূর্ণিঝড় এগোতে পারে।