“এর আগে যখন বাংলায় SIR হয়েছিল তখন উনি…”, মমতার বিরুদ্ধে তোপ সুকান্তের

কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনকে (SIR) কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। বিহারের পর ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গেও বিশেষ নিবিড়…

"এর আগে যখন বাংলায় SIR হয়েছিল তখন উনি...", মমতার বিরুদ্ধে তোপ সুকান্তের

কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনকে (SIR) কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। বিহারের পর ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গেও বিশেষ নিবিড় সংশোধন ঢুকল বলে! এসআইআর-এর মাধ্যমে বিজেপি ঘুরপথে রাজ্যে এনআরসি (NRC) ঢোকাচ্ছে বলে সরব তৃণমূল (TMC)।

অন্যদিকে, অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তৃণমূল নির্বাচনে কারচুপি করে বলে বিজেপির (BJP) পাল্টা অভিযোগ। ‘ভুয়ো ভোটার’ মুক্ত নির্বাচন করতে নিবিড় সংশোধন আবশ্যিক বলে দাবি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের। “বঙ্গে এর আগে যখন এসআইআর হয়েছিল, তখন তৃণমূল কোথায় ছিল?” বলে প্রশ্ন তুললেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন কেন্দ্র সরকার নয়, নির্বাচন কমিশন করায়।”

   

এরপরেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তাঁর তোপ, “২২-২৩ বছর আগে যখন পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ নিবিড় সংশোধন হয়েছিল তখন ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেছিল। রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস তখন কেন প্রতিবাদ জানায়নি?” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, “উনি তো নিজেই বলেছিলেন যে রাজ্যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গেছে। ১৪ বছরে কি তাঁরা সব ভুলে গেলেন?” গণতন্ত্রের রক্ষার্থে SIR আবশ্যিক বলে উল্লেখ করেন বালুরঘাটের লোকসভার সাংসদ।

Advertisements

উল্লেখ্য, ২৮ আগস্ট তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের সভামঞ্চ থেকে SIR সহ বিজেপির বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ো রোডের সভা থেকে তাঁর বক্তব্য ছিল, “সারা ভারত থেকে বিজেপি ৫০০ দল নিয়ে এসেছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছে কার নাম বাদ দেওয়া যায়। কেউ সার্ভে করতে এলে নিজের তথ্য দেবেন না।”

সেইসঙ্গে ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে নিজের নাম আছে কিনা খতিয়ে দেখতে এবং আধার কার্ড সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। SIR এর ফলে বিহারে ৬৫ লক্ষ মানুষের ভোটার তাইকা থেকে নাম বাদ যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায়। কমিশন দ্বারা প্রকাশিত ১১ নথির তালিকার মধ্যে যত বেশি সংখ্যক নথি জোগাড় করে, আপডেট করে গুছিয়ে রাখা যায় তারই চেষ্টায় নেমে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।