কার দখলে দিল্লির কুর্সি? বুথ ফেরৎ সমীক্ষার আগেই বোমা ফাটালেন প্রশান্ত কিশোর!

সপ্তমদফার ভোটপর্ব প্রায় শেষ। সন্ধ্যা হতে না হতেই প্রকাশিত হবে বুথ ফেরৎ সমীক্ষার ফল। তার কয়েকঘন্টা আগে অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে ফের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন…

what Prashant Kishor predicted hours before Lok Sabha election exit poll 2024, ভোট শেষের কয়েকঘন্টা আগেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ফের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রশান্ত কিশোর

সপ্তমদফার ভোটপর্ব প্রায় শেষ। সন্ধ্যা হতে না হতেই প্রকাশিত হবে বুথ ফেরৎ সমীক্ষার ফল। তার কয়েকঘন্টা আগে অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে ফের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ‘ভোট কুশলী’ প্রশান্ত কিশোর। আবারও জানালেন, দেশের ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। গেরুয়া বাহিনীর ঝুলিতে যেতে পারে ৩০৩ আসন। সমসংখ্যক আসনই ২০১৯ সালে জিতেছিল পদ্ম শিবির। এবারও সেই সংখ্যা তার থেকে মাত্র কয়েটি বাড়তে পারে বিজেপির জয়ী সাংসদের সংখ্যা।

দ্য প্রিন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর বলেছেন, “আমার মূল্যায়ন অনুসারে, বিজেপি একই বা কিছুটা ভাল সংখ্যা নিয়ে ফিরে আসতে চলেছে। পশ্চিম এবং উত্তর ভারতে, আমি বিজেপির আসন সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না। দলটি বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন পেয়েছে। তবে ভারতের পূর্ব এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে এবার বিজেপির ভাল ফল হবে।”

   

‘ISF হল ইন্ডিয়ান সন্ত্রাসবাদী ফ্রন্ট!’, বিস্ফোরক মন্তব্য সায়নীর

প্রশান্তের মতে, বিজেপি এবার কেরল, তামিলনাড়ি, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ভাল করতে মরিয়া ছিল। এখানকার বাসিন্দারা বিজেপির রাজনীতি, শাসনের সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নন। সেই ক্ষেত্রে লাভ ঘরে তুলতে পারে গেরুয়া শিবির।

এর আগে ‘ভোট কুশলী’ প্রাশান্ত কিশোর দাবি কেরছিলেন য়ে, কেন্দ্রে বর্তমান বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অসন্তোষ নেই বা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে সরকার বদল ও বিকল্পের জন্য জোরালো দাবি নেই। এনডিটিভি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, ‘জন সুরাজ পার্টি’র প্রধান আরও বলেছিলেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্ভবত বিজেপিকে লোকসভা নির্বাচনে আরেকটি জয় উপহার দেবেন।গেরুয়া দলের আসন সংখ্যা ২০১৯ সালে ওই দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার (৩০৩) কাছাকাছি হতে পারে বা তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।’

তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ নেতার ভেল্কি, ভোটের দুপুরে তড়িঘড়ি একসঙ্গে সুদীপ-কুণাল-পরেশ! কীসের ইঙ্গিত?

প্রশান্ত কিশোরের ব্যাখ্যা ছিল যে, “আমাদের মৌলিক বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া উচিত। যদি বর্তমান সরকার এবং তার নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকে, তাহলে একটি সম্ভাবনা আছে যে বিকল্প যাই থাকুক না কেন, জনগণ তাদের ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এখন পর্যন্ত, আমরা শুনিনি যে সেখানে মোদীজির বিরুদ্ধে জনগণের ব্যাপক ক্ষোভ হতাশা রয়েছে। অপূর্ণ আকাঙ্খা থাকতেই পারে, কিন্তু আমরা ব্যাপক ক্ষোভের কথা শুনিনি।”

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সংবাদ মাধ্যম সন্ধ্যা সাডে় ৬টার পরে এক্সিট পোলের তথ্য এবং ফলাফল প্রকাশ করতে পারবে।