আংশিক মেঘলা আকাশের সঙ্গে আজ কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া

west-bengal-weather-forecast-today-october-21

কলকাতা: দীপাবলির আলোকসজ্জা এবং আনন্দের পর মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর সকালে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠতে পারে । উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গের মানুষরা আজকের আবহাওয়া নিয়ে কৌতূহলী, বিশেষ করে যারা কৃষি কাজ বা বাইরের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ভারতীয় আবহাওয়া অফিস (আইএমডি)-এর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, রাজ্যের উভয় অংশেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে।

Advertisements

কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকায় সকালে কুয়াশা দেখা দিয়েছে, যা দৃশ্যমানতা কমিয়ে দিয়েছে। আইএমডির রিপোর্টে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তর অংশে একটি চক্রাকার বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কার্যকর হচ্ছে, যা এই আবহাওয়ার কারণ। দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোতে বিশেষ করে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কারণ কিছু জায়গায় বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে।

নন্দীগ্রাম–খেজুরিতে কালীপুজোর প্যান্ডেলে শুভেন্দু, মাতোয়ারা উৎসবের আনন্দে

উত্তর বঙ্গের কথা বললে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের মতো পাহাড়ি ও সমতল এলাকায় আজ দিনভর মেঘলা আকাশ থাকবে। আইএমডির পূর্বাভাস অনুসারে, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দার্জিলিংয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যখন জলপাইগুড়িতে ২৮-৩০ ডিগ্রির উষ্ণতা অনুভূত হবে।

বাতাসের গতি ১০-১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে। আর্দ্রতার হার ৮০-৯০ শতাংশের কাছাকাছি থাকায় আবহাওয়া কিছুটা আর্দ্র মনে হবে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, চা বাগানের কাজে এই বৃষ্টি সুবিধাজনক হলেও, পাহাড়ি রাস্তায় স্লিপারি কন্ডিশনের কারণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আইএমডি সতর্ক করে বলেছে, বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় না থাকাই ভালো, কারণ গত সপ্তাহে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

Advertisements

উত্তর বঙ্গের মানুষরা দীপাবলির পরের দিনটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চাইছেন, কিন্তু এই আবহাওয়া তাদের পরিকল্পনা কিছুটা বদলে দিতে পারে।দক্ষিণ বঙ্গের পরিস্থিতি আরও গুরুতর বলে মনে হচ্ছে। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলির মতো জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০-৭০ শতাংশ।

আইএমডির বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ন্যূনতম ২২-২৪ ডিগ্রি। সকালে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ২ কিলোমিটারের নিচে নেমে এসেছে, যা ট্রাফিক জ্যামের কারণ হতে পারে। বাতাসের গতি ১২-১৫ কিলোমিটার, এবং আর্দ্রতা ৮৫ শতাংশের উপরে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, বিশেষ করে সাগর দ্বীপ এবং ক্যানিংয়ের মতো উপকূলীয় এলাকায়, বজ্রঝড়ের সঙ্গে বাতাসের ঝাপটা (৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি লো প্রেশার এরিয়া গড়ে উঠছে, যা পরবর্তী দিনগুলোতে আরও প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয়রা বলছেন, দীপাবলির পরের দিন বাজারে যাওয়া বা অফিসে যাতায়াতে বৃষ্টির কারণে অসুবিধা হতে পারে ।