পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (Special Intensive Revision – SIR) প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সর্বত্র চলছে ব্লক লেভেল অফিসারদের (BLO) প্রশিক্ষণ পর্ব, যা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের এনুমেরেশন ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করবেন BLO-রা।
অফলাইনে ফর্ম পূরণের নিয়ম
প্রত্যেক ভোটারকে দেওয়া হবে ছবি, পার্ট নম্বর, বুথ নম্বর-সহ দুটি এনুমেরেশন ফর্ম। ফর্মে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে—
- জন্মতারিখ
- আধার নম্বর (ঐচ্ছিক)
- মোবাইল নম্বর
- পিতা-মাতা বা স্বামী/স্ত্রীর নাম ও এপিক নম্বর (যদি থাকে)
- এক কপি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
যদি কারও বাবা-মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থেকে থাকে, তাহলে সেই তথ্য BLO-এর মাধ্যমে যাচাই করা যাবে। BLO-দের জন্য নির্বাচন কমিশনের বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ২০০২ সালের তালিকা দেখা সম্ভব হবে।
ফর্ম পূরণের পর BLO নিজের স্বাক্ষর করবেন এবং একটি কপি জমা নেবেন, অপর কপি ভোটারের কাছে থাকবে BLO-র সই-সহ। প্রয়োজনে BLO একাধিকবার ভোটারের বাড়িতে গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে ভোটার চাইলে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দফতরেও ফর্ম জমা দিতে পারবেন।
রাজ্যবাসীর সুবিধার জন্য ফর্ম বাংলাতেও ছাপা হয়েছে। BLO-র মোবাইল নম্বর ফর্মে উল্লেখ থাকবে, যাতে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।
অনলাইনে ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া West Bengal Voter List Revision
যাঁরা ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের বাইরে থাকবেন, তাঁরা CEO West Bengal-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনেও এনুমেরেশন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ—
- ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন আপ করুন।
- নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ ইন করুন।
- এপিক নম্বর দিয়ে তথ্য ফেচ করান।
- নিজের স্ক্যান করা পাসপোর্ট সাইজ ছবি আপলোড করুন।
- অফলাইন ফর্মে থাকা তথ্য অনলাইনে পূরণ করুন।
- সাদা পাতায় সই করে স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
- উপযুক্ত ডিক্লেরেশন অপশন সিলেক্ট করুন।
- ২০০২ সালের ভোটার তালিকার তথ্য বা বাবা-মায়ের নাম থাকলে তা স্ক্রিনশট হিসেবে আপলোড করুন।
- যদি ২০০২ সালের তালিকায় কোনও নাম না থাকে, তাহলে কমিশনের নির্ধারিত ১১টি প্রমাণপত্রের যেকোনও একটি জমা দিতে হবে।
- সবশেষে ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করুন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়
এই বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম মুছে ফেলার আশঙ্কা নেই, এমনই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উদ্দেশ্য একটাই, স্বচ্ছ, নির্ভুল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা।


