মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলর খুন, ‘বেপাত্তা’ দুই দুষ্কৃতী, কত মাথার দাম ধার্য করল পুলিশ?

মালদার (Maldah) ইংরেজবাজারে তৃণমূল (TMC Counciller murder) কাউন্সিলর দুলাল সরকারের (Dulal Sarkar) খুনের ঘটনায় বড় ধরনের তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। দুই অভিযুক্ত, কৃষ্ণ রজক ও বাবলু…

West Bengal police identified two person who are culprits behind tmc Counciller asasination case in Maldah

মালদার (Maldah) ইংরেজবাজারে তৃণমূল (TMC Counciller murder) কাউন্সিলর দুলাল সরকারের (Dulal Sarkar) খুনের ঘটনায় বড় ধরনের তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। দুই অভিযুক্ত, কৃষ্ণ রজক ও বাবলু যাদব, যার মধ্যে কৃষ্ণ রজক মালদার বাসিন্দা এবং বাবলু যাদব বিহারের সুপারি কিলার হিসেবে পরিচিত, তারা দুজনেই খুনের মামলায় অভিযুক্ত। ঘটনায় দুটি দুষ্কৃতী নাম উঠে এসেছে, তবে তারা দুজনেই গ্রেফতারের ভয় পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশ তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। 

কেউ টোটো চালক, কেউ শ্রমিক, গোপনে চলত জেএমবির কার্যকলাপ, গ্রেফতার বাংলাদেশি জঙ্গিরা

   

এ ঘটনার পর সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছে। দুলাল সরকারের খুনের বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে পুলিশ, এবং অভিযুক্তদের ধরতে তাদের সবকিছু করতে বলা হয়েছে। দুলাল সরকার হত্যাকাণ্ডটি একেবারে অকস্মাৎ ঘটে এবং এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

অভিযোগ উঠেছে যে, বাবলু যাদবকে বিহার থেকে আনা হয়েছিল এবং তাকে সুপারি কিলার হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে বিশ্বাস করে যে, কৃষ্ণ রজক এবং বাবলু যাদবের মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা বা অপরাধমূলক সম্পর্ক রয়েছে, যা এই হত্যাকাণ্ডের কারণ হতে পারে। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তই এখনও পালিয়ে রয়েছে এবং তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ মহল থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

গঙ্গাসাগরকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা, দাবি গোয়েন্দাদের

কৃষ্ণ রজকের স্ত্রীর দাবি, তিনি গোটা ঘটনাটি সম্পর্কে কিছু জানতেন না। তবে তার মতে, যদি তার স্বামী বা অন্য কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাহলে তারা দোষী এবং তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে পুলিশকে সাহায্য করার জন্য তিনি প্রস্তুত। এই বক্তব্যে তার মানবিকতার পরিচয় পাওয়া যায়, যেখানে তিনি অপরাধের কঠোর নিন্দা করেছেন এবং স্বামী বা অন্যদের জন্য শাস্তি দাবি করেছেন।

এই ঘটনায় মালদা শহরের রাজনৈতিক পরিবেশে চরম উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্তদের খোঁজে নেমেছে এবং তাদের ধরতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। রাজ্য পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, ২ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে এবং তারা দোষীদের ধরতে কোনও কিছুর অভাব রাখবে না। 

চিনা উদ্বেগ HMPV সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুধু একটি হত্যার ঘটনাই নয়, এটি রাজনৈতিক দুষ্কৃতী এবং সুপারি কিলিংয়ের মতো ভয়ানক অপরাধের চিত্র প্রকাশ করছে। এর ফলে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চাপ সৃষ্টি হয়েছে।