বাংলাদেশের (Bangladesh unrest) রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে অশান্তি ও অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে, এবং এর সুযোগ যাতে কেউ এপার বাংলায় কাজে লাগাতে না পারে, সে বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ তৎপর। রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) ডিজি রাজীব কুমার স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) এ বিষয়ে কঠোরভাবে নজর রাখছে এবং জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরোধে তারা যথেষ্ট সক্রিয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ অত্যন্ত নিঃশব্দে এবং দক্ষতার সাথে কাজ করছে, ফলে রাজ্যের মানুষ নিরাপদে আছেন’’।
ছাব্বিশে তৃণমূলের জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা: তথাগত রায়
রাজীব কুমার আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে কখনোই নজরদারি থেকে পিছিয়ে যায় না, তা এর অতীতের রেকর্ড থেকেই প্রমাণিত। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচেষ্টা সব সময় কার্যকরী এবং আমরা ওই কাজেই আগ্রহী।’’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক (Bangladesh unrest) অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ানোর এক নতুন দৃষ্টান্ত দেখা গেছে, বিশেষ করে ভারতীয় সীমান্তে এই ধরনের কার্যকলাপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্য পুলিশের ডিজি দাবি করেছেন, ‘‘এমন কোনো ঘটনা রাজ্যে ঘটতে দেবে না পুলিশ’’। তিনি জানান, পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন শাখা এবং বিশেষ বাহিনী, যেমন এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স), এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকরভাবে কাজ করছে এবং তারা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে।
কিছু দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজ্যে এক জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে। ওই জঙ্গি ক্যানিং থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং জানা গেছে, তিনি কাশ্মীরের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের সদস্য ছিলেন। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এসটিএফের মাধ্যমে এই জঙ্গির খোঁজ পাওয়া যায় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে, যা এই ধরনের জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
TMC কাউন্সিলরের অনুষ্ঠানে লগ্নজিতা, ক্ষোভে ফুটছে কর্মীরা
রাজীব কুমার আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফের দেওয়া তথ্য থেকেই আমরা কাশ্মীরের বাসিন্দা ওই জঙ্গির অবস্থান জানি এবং তাঁকে গ্রেফতার করি।’’ তিনি এটাও উল্লেখ করেন, ‘‘যতদিন পর্যন্ত আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি, ততদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গি তৎপরতা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপের থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’’
পুলিশের মতে, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি যাতে তৈরী না হয়, তার জন্য রাজ্য পুলিশ সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। রাজ্য পুলিশের একটি বড় অংশ নিয়মিতভাবে সীমান্ত অঞ্চলে নজরদারি চালাচ্ছে, যাতে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা অবৈধ তৎপরতা ঠেকানো যায়। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ একযোগে কাজ করে শত্রু রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে সফল হয়েছে। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিস্তার রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বঙ্গে তৃণমূল সরকার গঠনে বড় ভূমিকা ছিল মনমোহন সিংয়ের
এছাড়া, ডিজি রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখা।’’ পুলিশ বিভাগ এ ব্যাপারে নিরলসভাবে কাজ করছে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধের পাশাপাশি রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এভাবে, পুলিশ বিভাগের চলমান তৎপরতা এবং সক্রিয় পদক্ষেপে রাজ্যে সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকানোর বিষয়ে আশাবাদী রাজীব কুমার।