অতীতের আতঙ্ক গ্রাস করছে সাগরে, ধসে বিপর্যস্ত কপিলমুনি আশ্রম

গঙ্গাসাগরের তীরে ভয়াবহ ধসে বিপর্যস্ত কপিলমুনির আশ্রম সংলগ্ন এলাকা। রবিবার পূর্ণিমার কোটাল আর নিম্নচাপের জোড়া ফলায় গঙ্গাসাগরে ধস নামে এই ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে…

Kapil Muni Ashram to Contribute Funds for Guard Rail Construction at Gangasagar

গঙ্গাসাগরের তীরে ভয়াবহ ধসে বিপর্যস্ত কপিলমুনির আশ্রম সংলগ্ন এলাকা। রবিবার পূর্ণিমার কোটাল আর নিম্নচাপের জোড়া ফলায় গঙ্গাসাগরে ধস নামে এই ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সম্প্রতি ধসের ফলে বিপর্যস্ত হয় গঙ্গাসাগরে যাওয়ার ২ নং ও ৫ নং রাস্তা। অন্যদিকে ৪ নং রাস্তায় রাজ্য পূর্ত দফতরের নির্মিত ১০ ফুট রাস্তাও তলিয়ে গিয়েছে সমুদ্রে। রবিবারের পূর্ণিমার কোটালের জলে ওই রাস্তায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট রাস্তাও তলিয়ে গিয়েছে সমুদ্রগর্ভে।

চাঁদিপুরা ভাইরাসের প্রকোপে রাজ্যে মৃত ৩২

   

ধসের জেরে উপড়ে পড়েছে লাইট পোস্ট। ভেঙেচুরে একাকার ট্যাপ কল, পানীয় জলের পাইপ। ঝুঁকি কমাতে সাগরমেলার সময় ব্যবহৃত একটি লাইট পোস্ট ও ট্রান্সফর্মার ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয় বিদ্যুৎ দফতর। বিপদের আঁচ পেয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী এলাকার দোকানঘর গুলিকেও। দিনভর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয় পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। যাতে কোনও পুন্যার্থী এইসময় সমুদ্রস্নানে না নামেন।

গরম কমবে, বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ

স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান হরিপদ মণ্ডল জানান, কেন্দ্রীয় সরকার এখনই গঙ্গাসাগরকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় অর্থসাহায্য না করলে সমূহ বিপদ। এই ভাঙণের জেরে তলিয়ে যেতে পারে কপিলমুনির আশ্রম। অতীতেও এই কপিলমুনির তিনটি আশ্রম সমুদ্রে গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

সরকারি কর্মীরাও হাফপ্যান্টে যোগ দেবে আরএসএসে,নয়া নিয়ম কেন্দ্রের

এই ধস আর ভাঙণ নিয়ে ইতিমধ্যেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। সাগরের বিডিও কানহাইয়া কুমার রায় বলেন, ”৪ নম্বর রাস্তায় বেশ বড়সড় ভাঙনই হয়েছে। জেলা ও ব্লক প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই বিষয়টি সেচ দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরে জানানো হয়েছে।”