কলকাতা: চাকরি হারানো গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্যের ঘোষণা প্রকাশের পরদিনই মঙ্গলবার তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানির অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাকরিহারা গ্রুপ ডি-গ্রুপ সি-র কর্মীদের ভাতা
সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ফান্ড’-এর অধীনে ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে চাকরি হারানো গ্রুপ সি কর্মীরা ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাতা প্রকল্পের ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “এখানে কিছু লোক আছে যাঁরা কথায় কথায় পিল খায় আর কিল মারে। চাকরি দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গোসাঁই! আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিমের মাধ্যমেই চাকরি হারানো গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের অনুদান দেব।”
২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল West Bengal Job Allowance
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে শিক্ষকরা আপাতত স্কুলে যেতে পারলেও, শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে সেই অনুমতি মেলেনি। সেই প্রেক্ষিতে বিকল্প পদক্ষেপ হিসেবে এই ভাতা প্রকল্প চালু করার কথা জানায় রাজ্য।
তবে এই ভাতা ঘোষণাকেই ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘বঞ্চনার প্রতিফলন’ বলে দাবি করেছেন বহু চাকরি প্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, একদিকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথচ চাকরি না পাওয়া যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত, অন্যদিকে আইনি জটিলতায় চাকরি হারানোদের জন্য ভাতা ঘোষণা করা হচ্ছে। এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে কী রায় দেয় আদালত, এখন সেদিকেই নজর সব মহলের।
West Bengal: West Bengal government’s new allowance for lost Group C & D jobs challenged in Calcutta High Court. Displaced workers argue against the scheme announced by CM Mamata Banerjee. Hearing set for Thursday.