হিমোফিলিয়ার ইঞ্জেকশনের অভাব ESI হাসপাতালগুলিতে, বেকায়দায় রোগীরা

রাজ্যের ইএসআই হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না হিমোফিলিয়ার ওষুধ। ফলে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে চিকিত্সা করতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবারদের। সাধারনত হিমোফিলিয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টি হিমোফিলিক ইঞ্জেকশন…

রাজ্যের ইএসআই হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না হিমোফিলিয়ার ওষুধ। ফলে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে চিকিত্সা করতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবারদের। সাধারনত হিমোফিলিয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টি হিমোফিলিক ইঞ্জেকশন ‘ফ্যাক্টর-৮’ দিতে হয়। কিন্তু সেই ইঞ্জেকশনই এখন পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতালগুলিতে। কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন করে সরবরাহ না হলে হাসপাতালের কিছু করার নেই। কারণ ইঞ্জেকশন সরবরাহের ক্ষমতা তাঁদের নেই। এদিকে ওয়ার্ল্ড ফেডারশন ফর হিমোফিলিয়ার বক্তব্য, হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের সপ্তাহে তিন বার ফ্যাক্টর-৮ ইঞ্জেকশনটি দিতে হবে। তাতে রোগীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

হিমোফিলিয়া একটি জিনগত রোগ। সাধারনত মানবদেহে রক্ত তৈরি না হলে এই সমস্যা হয়। কোথাও কেটে গেলে যদি রক্ততঞ্চন না হয় তাহলে হিমোফিলিয়া হয়েছে বলেই চিকিত্সকেরা মনে করেন।

   

জানা গিয়েছে, রাজ্যের জেলা ও কলকাতা মিলিয়ে মোট ১৩ টি ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে এরাজ্যে। সেখানে চিকিৎসাধীন হিমোফিলিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ১৪০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ‘ফ্যাক্টর-৮’ ইঞ্জেকলশন পান। এবং বাকিরা ‘ফ্যাক্টর-৯’ পান। কিন্তু এই ওষুধের আকালের ফলে বহু রোগী সপ্তাহে একটিও ইঞ্জেকশনও পাননি বলে দাবি করেছেন। নদিয়ার কল্যানী, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি, কলকাতার মানিকতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন ইএসআই হাসপাতালে এই অ্যান্টি হিমোফিলিক ইঞ্জেকশন অমিল বলে ইতিমধ্যেই হাত তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তবে এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থার মোকাবিলায় কিছু ইঞ্জেকশন ‘অন ডিমান্ড’ মজুত রাখা হয়েছে বলে শিয়ালদহ ইএসআই’য়ের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এই সমস্যার মোকাবিলা কিভাবে করা যাবে তার জন্য রাজ্য প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে হাসপাতালগুলি।