ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা রাজ্যপালের

নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি.ভি.আনন্দবোস। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কার্যত স্পষ্ট…

নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি.ভি.আনন্দবোস। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কার্যত স্পষ্ট ভাষায় রাজ্যেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এটা কোনও সভ্য জগতে হতে পারে না। সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। আর রাজ্যপালের এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে আরও নতুন মাত্রা যোগ করল। বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় রাজবনে প্রবেশ করতে পারেনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রায় এক ঘন্টা তাঁকে গাড়িতে আটকে রাখা হয়।

এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপির প্রতিনিধিদের দেখা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন তাঁর এজলাসে রাজ্য পুলিশকে একরকম ধমক দিয়ে পুলিশের আচরনের জবাব চান তিনি। তারপর রাজ্যপাল অনুমতি দিলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলে জানান বিচারপতি। আদালতের এই নির্দেশ শুভেন্দুর কিছুটা হলেও স্বস্তি বাড়াল মনে করছে রাজনৈতিকমহল। আর হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল। যেন তিনি আদালতের রায়ের অপেক্ষাতেই ছিলেন!

   

বিগত কয়েক বছরে রাজ্যে রাজনীতিতে ক্রমশই’সক্রিয়’ হয়ে উঠেছে রাজ্যপালের ভূমিকা। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক ইস্যুতেই যেচে মন্তব্য করতে পিছুপা হননি রাজ্যপাল। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছে রাজ্যের সঙ্গে। শাসক দলের তরফেও সাংবিধানিক পদকে কলুষিত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজভবনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পরবর্তী হিংসা নিয়েও রাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তদ্কালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই সময়েও বিরোধী দলের সঙ্গে রাজভবনের আঁতাত নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল।