বন্যা পরিস্থিতির জন্য এবার রাজ্যকেই দায়ী করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বিগত কয়েকদিনে নিম্নচাপের ফলে ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছিল কলকাতা সোহো রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। তারপর ডিভিসি-র মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার ফলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের পর এটাই এই সালের সবথেকে ভয়াবহ বন্যা।
এই বন্যার জেরে ঘরবাড়ি হারিয়েছে বহু মানুষ। এক কোমর জলেই চলছে যাতায়াত। দোতালা বাড়িও ধসে পরে গেছে বলে জানা গেছে। এই আবহেই বেশকিছুদিন আগে বন্যা কবলিত স্থান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এটা ম্যান-মেড বন্যা। ডিভিসি চাইলেই এই জল আটকাতে পারতো।”
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী গতকালই চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই চিঠিতেও ‘ম্যান-মেড’ বন্যার অভিযোগের কথা লেখা হয়েছিল। কেন্দ্রের সাহায্যও চেয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার সুর।
সেই আবহের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল পালটা দাবি করলেন যে এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী। যেসব জেলাগুলিতে বন্যার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসি-কে দায়ী করছেন, সেইসব এলাকা ডিভিসির মধ্যেই পরে না। কংসাবতী, শিলাবতী ও দ্বারকেশ্বর নদী এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। কংসাবতী নদীর উপর মুকুটমণিপুরে বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে।
এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছাকৃতভাবে এই বন্যার দায় কেন্দ্র সরকারের উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন।