রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভোটের সরগরম বাংলা। তার মধ্যেই আরও বড় অভিযোগ উঠল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করলেন এক নৃত্যশিল্পী। কয়েক মাস আগেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগকারিনী কলকাতা পুলিশে অভিয়োগ দায়ের করেছিলেন। বর্তমানে যা প্রকাশ্যে এসেছে। কলকাতা পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট নবান্নে পাঠিয়েছে।
অভিযোগ, ওই নৃত্যশিল্পীকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে এক হোটেলে ধর্ষণ করেছেন রাজ্যপাল। অভিযোগকারিনীর পুলিশে দায়ের করা অভিযোগের বয়ান অনুযায়ী, কয়েক মাস আগে এক নামী সঙ্গীতশিল্পীর মাধ্যমে কলকাতায় রাজভবনে যান তিনি। তারপর থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন কথা হতে থাকে। নিজের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা নৃত্যশিল্পী রাজ্যপালকে জানিয়েছিলেন। সমস্যার সমাধানে তাঁকে ভারতের এক উচ্চপদস্থ আমলার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই মতো দিল্লিতে তাঁকে নিয়ে গিয়ে এক হোটেলে রাখা হয় বলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ। মহিলার অভিযোগ, দিল্লির ওই হোটেলেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে ধর্ষণ করেন।Weather: বইবে ৩০-৪০ কিমি বেগে হাওয়া, দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
আরও পড়ুন- Weather: বইবে ৩০-৪০ কিমি বেগে হাওয়া, দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিষয়টি ছ’মাসের পুরোন। জানা গিয়েছে, তখনই কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অভিযোগকারিনী। সম্প্রতি রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করলে কলকাতা পুলিশ আগের এই অভিযোগ নবান্নে পাঠিয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য।
গত ২রা মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। অভিযোগ নস্যাৎ করে গোটাটাই রাজ্যের শাসক দলের রণনীতি বলে তোপ দেগেছেন সিভি আনন্দ বোস। ক্ষমতাবলে পুলিশি তদন্তও কার্যত বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন এ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এমনকী রাজভবনের তরফে ওই দিনের একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করা হয়। যেখানে ওই অভিযোগকারিণীকে বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে। যদিও তাঁর অনুমতি ছাড়া কেন ওই ফুটেজ প্রকাশ্যে কেন আনা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগকারিণী। সোচ্চার হয়েছে তৃণমূলও।
এই ঘটনায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে কলকাতার পুলিশ নগরপাল বিনীত গোয়েলের কাছে। যদিও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিসি-র (সেন্ট্রাল) নেতৃত্বে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশের বিশেষ দল। সূত্রের খবর, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা।