মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা পুর-বৈঠক থেকে কেন বাদ তাহেরপুর ও ঝালদা?

মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা পুর- প্রশাসনিক বৈঠকে বাদ বাম-কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত তাহেরপুর ও ঝালদা পুরসভা। সোমবার রাজ্যের সমস্ত পুরসভাগুলিকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বসতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়, সঙ্গে…

Mamata Banerjee Angry মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা পুর-বৈঠক থেকে কেন বাদ তাহেরপুর ও ঝালদা?

মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা পুর- প্রশাসনিক বৈঠকে বাদ বাম-কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত তাহেরপুর ও ঝালদা পুরসভা। সোমবার রাজ্যের সমস্ত পুরসভাগুলিকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বসতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়, সঙ্গে থাকবেন কলকাতার মেয়র ও পুর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও এই বৈঠকে যোগদান করবেন। এদিন পুরন্নয়োন দফতরের তরফে নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে এই নির্দেশিকায় নাম নেই নদিয়ার তাহেরপুর ও পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার। সেখানকার কোনও আধিকারিকই যোগ দিচ্ছেন না বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এই নিয়েই ইতিমধ্যে জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। তবে বিষয়টি নিয়ে অযথা রাজনীতি করতে না করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

গত ২০২২ সালে পুরভোটে তাহেরপুর পুরসভার দল নেয় বামেরা। আবার এই লোকসভা ভোটে সেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, ঝালদার পুরবোর্ড দখল করে কংগ্রেস। তারপর ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্যের শাসক দলকে। ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই একাধিক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করে। এই খুনের তদন্তে উঠে আসে তৃণমূল-যোগ। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে মুখ পোড়াতে হয় শাসকদলকে।

   

যদিও সেই তদন্ত এখনও চলছে। এবার লোকসভা ভোটে ঝালদার প্রতিটি ওয়ার্ডেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ফলে ‘রাম-বাম’ সমীকরণের অ্যালার্জীই বার বার অস্বস্তিতে ফেলছে রাজ্য প্রশাসনকে? প্রশ্ন উঠছে এমনই। তবে এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ”যাদের ডাকা প্রয়োজন তাঁদেরই ডাকা হয়েছে। এই নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই।”

লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে শহরের পুর অঞ্চলগুলিতে ভোটের হার কমেছে তৃণমূল। রাজ্যের ১২১ টি পুরসভার মধ্যে ৬৯ টিতেই এগিয়ে বিজেপি। আবার কলকাতার ৪৭ টি ওয়ার্ডেও নিজেদের অস্তিত্ব জোরদার করেছে গেরুয়া শিবির। তারপরই কি প্রশাসনিক রাশ ‘কড়া’ করতে এই বৈঠকের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।