‘হাত’ ছাড়া বাগদা, কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই প্রার্থী দেবে বামেরা

 নিউজ ডেস্ক: বামেদের ঘরের কোন্দলের কোপ কংগ্রেসে?  আসন্ন বিধানসভা উপ নির্বাচনে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বাগদায় প্রার্থী দেবে বামেরা। গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে বাগদায় প্রার্থী দিয়েছিল…

wb-bypoll-cpim-can-win-this-assembly-seat-of-west-bengal-in-the-by-election

 নিউজ ডেস্ক: বামেদের ঘরের কোন্দলের কোপ কংগ্রেসে?  আসন্ন বিধানসভা উপ নির্বাচনে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বাগদায় প্রার্থী দেবে বামেরা। গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে বাগদায় প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার উপনির্বাচনে জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে ছাড়াই ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থীকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই জোটের মধ্যেই শুরু হয়েছে জলঘোলা। কংগ্রেসের দাবি, গত ২০১৬ এবং ২০২১ দুটি বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা আসনটি কংগ্রেসের জন্য ছেড়েছিল বামেরা।

সেখানে গত দুই বারেই প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাগদায় প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রবীর কীর্তনীয়া। তবে মাত্র ৮,২৫০ টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন তিনি। ভোট শেয়ার ছিল মাত্র ৩.৭ শতাংশ। এই বিপুল মার্জিনে পরাজয় কী ওই আসনে কংগ্রেসের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে বামেরা?  তাই কী এবার বামেরা প্রার্থী বাছাইয়ের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে কী পরামর্শ করে নি? নাকি রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই পুরনো জোটসঙ্গীকে আমল দিতে চাইছেন সেলিম-সুজনেরা? সেই নিয়েও ইতিমধ্যে উঠছে প্রশ্ন।

   

এদিকে শনিবার আসন্ন উপ নির্বাচনে রায়গঞ্জ ও বাগদা দুটি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করে কংগ্রেস। অন্যদিকে, রানাঘাট ও মানিকতলা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করেছে বামেরা। এই পর্যন্ত সবকিছুই চলছিল জোট সমীকরণের সূত্র মেনেই। কিন্তু গত শুক্রবার একরকম আকস্মিকভাবেই বাগদার সংরক্ষিত কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করে বামফ্রন্ট। তারপর থেকেই জোট অস্বস্তিতে পড়তে হয় বাম-কংগ্রেস জোটকে।

বাগদা কেন্দ্রটির রাজনৈতিক ইতিহাস খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে বাম আমল থেকেই বাগদা কেন্দ্রটি বরাবরই ফরোয়ার্ড ব্লকের অধীনে ছিল। গত ২০১৬ বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের দুলাল বর জোট প্রার্থী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে পরাজিত করেন। তার আগে ২০১১ সালে তৃণমূল প্রার্থী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের হাতেই পরাজিত হন ফরোয়ার্ড ব্লকের মৃণাল সিকদারকে। আবার ২০০৬ সালেও তৃণমূলের দুলাল বরের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লকের কমলাক্ষ্মী বিশ্বাস। যদিও সেই সবই এখন ইতিহাস। এরমধ্যে গত দু’দশকে অনেকটাই গড়িয়েছে গঙ্গার জল। একসময়ের ‘জমিদারী’ চলে গিয়ে এখন ভূমিহারা কৃষকের মতো অবস্থা বামেদের। তবুও ‘আদর্শগত জোট সঙ্গী’ফরোয়ার্ড ব্লকের জন্যই এই আসনটি ছাড়তে কেন মরিয়া আলিমুদ্দিন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে।

এদিকে কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে ফরোয়ার্ড ব্লক সবসময় আসন সমঝোতায় ব্যাঘাত দিয়েছে। এবারও তার ব্যতীক্রম নয়। প্রশ্ন উঠছে বাম জোটকে ঐক্যবদ্ধ রাখতেই কী ফরোয়ার্ড ব্লকের দাবিতে মাথা ঝোঁকালো আলিমুদ্দিন স্ট্রিট? তবে সেই প্রশ্নকে এড়িয়ে গিয়ে বামেদের সাফাই, প্রতিটি দলের নিজস্ব কিছু চাহিদা থেকেই থাকে। তবে বৃহত্তর স্বার্থে জোটধর্ম পালনে কংগ্রেসের সঙ্গেও আলোচনা করা যেতে পারে।