ঘোর বিপদে শুভেন্দু! অধিকারী গড়েই পদ্মে ভরসা হারাচ্ছেন সংখ্যালঘুরাই

“যো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ….।” সম্প্রতি বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই দলের সংখ্যালঘু মোর্চাকে ছেঁটে ফেলার…

Subhendu

“যো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ….।” সম্প্রতি বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই দলের সংখ্যালঘু মোর্চাকে ছেঁটে ফেলার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। আর এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক জলঘোলা। কিন্তু তারপরেই শুভেন্দুর মতকে একরকম ‘এড়িয়ে’ যাওয়ার চেষ্টা করা হয় রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে। যাকে কেন্দ্র বাড়তে থাকে চাপানউতোর।

ভোটে জিতেই বেপাত্তা! ৪৩ দিন পর বহরমপুরে পা রাখলেন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ

   

এমন প্রেক্ষিতে একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে দলের সংখ্যালঘু মোর্চার নেতারা। শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামের একাধিক সংখ্যালঘু মোর্চারাও রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিরোধী নেতার ঘোষণায়। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তৈমুর আলির গলায় ঝরে পড়ছে আক্ষেপ। তিনি বলেন, “পরিশ্রম করে দলকে জয় এনে দিয়েছি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য কোনও ভাবেই সমর্থন করি না।’’ রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা মুক্তারন বিবিরও বক্তব্য, ‘‘শুভেন্দু কী বলছেন, তাতে কান দেওয়ার দরকার নেই।’’ 

ভোটে জিতেই বেপাত্তা! ৪৩ দিন পর বহরমপুরে পা রাখলেন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ

২০২০ সালে শুভেন্দু তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়। সেই সময় তাঁর হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে আসেন সেখ আসপাকউদ্দিনেরা। তমলুক জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শেখ সাদ্দাম হোসেন জুড়ছেন, ‘‘বিজেপির জন্মলগ্নে যে তিন জন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তাঁদের মধ্যে সংখ্যালঘু নেতাও ছিলেন।’’

‘…ও অনেক এগিয়ে’, শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুণাল

অন্যদিকে, তৃণমূলের তমলুক জেলার সহ-সভাপতি সেখ সুফিয়ান বলেন, “এদেশে কোনও একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করে ভোটে জেতা যায় না। তার উদাহরন উত্তরপ্রদেশ।” বিজেপি এরাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছে। আগামী ভোটে সমস্ত সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেবে।”