ভোটে ভরাডুবি নিয়ে বিজেপির বৈঠক, গরহাজির শুভেন্দু

নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুকে ছাড়াই এবার হারের ময়নাতদন্তের বৈঠকে বিজেপির রাজ্য নেতারা। শনিবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের দলীয় দফতরে বৈঠকে যোগ দেন তাঁরা। বৈঠকে সামিল হন রাজ্য বিজেপি…

Subhendu Adhikary

নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুকে ছাড়াই এবার হারের ময়নাতদন্তের বৈঠকে বিজেপির রাজ্য নেতারা। শনিবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের দলীয় দফতরে বৈঠকে যোগ দেন তাঁরা। বৈঠকে সামিল হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ ও অগ্নিমিত্রা পাল সহ আরও অনেকে। এবার ভোটে ২৫ টি আসনের টার্গেট রাখার পর কেন এরকম খারাপ ফলাফল হল তা নিয়ে মূলত কাঁটাছেড়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলী তান্ডবে ঘর ছাড়া অবস্থা বিজেপি কর্মীদের। সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রে চার জনের প্রতিনিধি দল। তাঁর আগে একরকম ঘর গোছাতেই এই বৈঠক বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।

   

তবে এদিনের বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে কোচবিহারে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু রাজ্যের কমিটির বৈঠকের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের দিনই কেন গরহাজির শুভেন্দু? এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের সঞ্চার ঘটায়। তারমধ্যে যেখানে কেন্দ্রীয় দল রাজ্য সফরে আসছে তার আগে এই বৈঠক রাজনৈতিক কৌশলগত দিক থেকে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ধরনের বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাহলে এমন দিনেই কেন কোচবিহার সফর বেছে নিলেন শুভেন্দু? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকমহলে।

ভোটে ভরাডুবির পর নাম না করে তাঁকেই নিশানা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ,অগ্নিমিত্রা পালেরা। তখন থেকেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে ‘ছায়াযুদ্ধ’প্রকট হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে নিজের হয়েই সাফাই দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,” দলের সাংগাঠনিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না, ভবিষ্যতেও করব না। “

এমন ঢাক-ঢাক গুরগুর পরিস্থিতিতে রাজ্যে কমিটির বৈঠক কতটা ফলপ্রসু হয় সেটাই দেখার।