ভোটের ভাঁড়ারে হরির লুট ! টাকা নয়ছয়ে বেকায়দায় বিজেপি

ভোটে ভরাডুবির পর আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ,পাল্টা অভিযোগে বিপর্যস্ত বিজেপি। যারজেরে রীতিমতো বেকায়দায় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিটি জেলার বিভিন্ন্ ব্লকস্তরের নেতাদে বিরুদ্ধে ভোট প্রচারের জন্য বরাদ্দ…

ভোটে ভরাডুবির পর আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ,পাল্টা অভিযোগে বিপর্যস্ত বিজেপি। যারজেরে রীতিমতো বেকায়দায় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিটি জেলার বিভিন্ন্ ব্লকস্তরের নেতাদে বিরুদ্ধে ভোট প্রচারের জন্য বরাদ্দ হওয়া কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের করার এমন অভিযোগ উঠেছে। সাধারণত ভোটে পরাজিত প্রার্থী ও তাঁদের ‘কাছের মানুষে’রাই এই টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু পরাজিত প্রার্থীর অভিযোগ সত্বেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে গেরুয়া ব্রিগেড। বিজেপিতে আর্থিক সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে অত্যন্ত সতর্কভাবে পরিচালিত করা হয়ে থাকে। তারজন্য দক্ষ কোষাধক্ষদের টিম থাকে। প্রতিটি পয়সার হিসেব তাঁদের রাখতে হয়। অনেকসময় যাতে কোনও প্রার্থী তাঁর ব্যক্তিগত স্বার্থে টাকা খরচ না করেন, সেদিকেও নজর রাখতে হয়।

কিন্তু এবার নির্বাচনে ভরাডুবির পর এখন বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারিক কথা উঠে আসছে দলের ভেতর থেকে। এই বিষয় প্রথম মুখ খোলেন কৃষঞনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। তাঁর নামে পাঠানো পাসবই তাঁর হাতে না দিয়ে একাধিক চেক সই করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

   

এদিকে, বারুইপুরের বিজেপি দলীয় দফতরে টাকা নয়ছয় নিয়ে ইতিমধ্যেই হুলুস্থূল লেগেছে। ভোটের সময় নরেন্দ্র মোদীর প্রচারের জন্য বরাদ্দ টাকা এখনও পড়ে রয়েছে। সেই টাকাই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এই অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো জেরবার গেরুয়া শিবির। হারের ময়না তদন্ত করবে নাকি ভোট পরবর্তী হিংসা মেটাবে তা নিয়ে যখন বেকায়দায় তখন আর্থিক জালিয়াতির মামলা নিঃ সন্দেহে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে শুভেন্দু ব্রিগেডের।

নিয়ম অনুযায়ী, বুথপিছু ২০ হাজার টাকার মতো দেওয়া হয় ভোট ঘোষণার পর। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকে প্রায় ১৯০০ টি বুথ। আর এই খাতেই খরচ হয় কয়েক কোটি টাকা। এছাড়াও পোস্টার ব্যানার বানাতে খরচ হয় আরও কয়েক কোটি টাকা। কোন খরচ জেলা এবং প্রার্থী সামলাবেন সেটা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করার কথা। রাজ্য বিজেপির পক্ষেও প্রচারসামগ্রী দেওয়া হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর সভার ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যরকম। তখন ৫০ হাজার থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। এবার এই সমীকরণেই আর্থিক বরাদ্দ করেছিল জেপি নাড্ডা-শাহেরা। কিন্তু পরাজিতদের এই হাহাকার এখন গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে বিজেপির।