ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) আগামী কয়েক দিনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়া (Weather update)সতর্কতা জারি করেছে। বিশেষ করে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কারাইকালে ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত, (Weather update)বজ্রঝড় ও বিদ্যুৎ চমকানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আজ বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
কেরালা, মাহে, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, ইয়ানাম এবং রায়লসীমা এলাকায় ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তামিলনাড়ু ও শ্রীলঙ্কার উপকূল বরাবর একটি নিম্নচাপ অঞ্চল গঠিত হয়েছে, যা দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের (Weather update)কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একটি নিম্নচাপে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে তামিলনাড়ু ও শ্রীলঙ্কার উপকূলের দিকে যেতে পারে।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সকালের দিকে ঘন কুয়াশার (Weather update)সম্ভাবনা রয়েছে। হিমাচল প্রদেশে ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর এবং উত্তরপ্রদেশে ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর একই রকম পরিস্থিতি থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আগামী পাঁচ দিনে দেশের অধিকাংশ অংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে। তবে হরিয়ানার হিসার এবং পূর্ব রাজস্থানের সিকার দেশের সমতল অঞ্চলের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.০°C হিসেবে রিপোর্ট করা হয়েছে।
দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রায় সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেলেও বায়ুর গুণগত মান ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে বায়ু দূষণ ‘গুরুতর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (CPCB) তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির গড় বায়ু মান সূচক (AQI) ছিল ৪১২। বিশেষ করে ওয়াজিরপুরে AQI ছিল ৪৪০, যা সবচেয়ে দূষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
রবিবার সকালে আনন্দবিহারের AQI ছিল ৩৩০, আর পাঞ্জাবি বাগ এলাকায় এটি ছিল ২৯৬, যা ‘খারাপ’ স্তরের মধ্যে পড়ে।
মর্শআবহাওয়ার প্রতিকূল অবস্থা এবং বায়ু দূষণের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে তামিলনাড়ু ও কেরালা অঞ্চলে যারা বসবাস করেন বা যাতায়াত করছেন, তাদের ভারী বৃষ্টিপাতের সময় অপ্রয়োজনীয় বাহিরে যাওয়া এড়ানো উচিত।
উত্তরের রাজ্যগুলোতে ঘন কুয়াশার কারণে গাড়িচালক এবং যাত্রীদের সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে দিল্লি এবং আশপাশের অঞ্চলে বসবাসরত ব্যক্তিদের দরকার হলে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরিধান করার এবং ঘরের অভ্যন্তরে থাকাকালীন এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি ক্রমশ পরিবর্তিত হওয়ার কারণে প্রশাসন বিভিন্ন অঞ্চলে সতর্কবার্তা জারি করেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।