বসন্ত উৎসবের প্রাক্কালে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে (Weather Latest Update) গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। কলকাতার আবহাওয়া আজকাল পুরোপুরি খামখেয়ালি হয়ে উঠেছে। মার্চ মাসের মধ্যেই কলকাতায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। তবে দিল্লি আবার বৃষ্টিতে ভাসছে হোলির দিনে। এমন পরিস্থিতি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী কিছুদিন আবহাওয়া অত্যন্ত অস্থির থাকবে। কলকাতার পাশাপাশি অন্য অনেক জায়গাতেও তাপপ্রবাহ এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যেসব পর্যটক দোলের ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে যেতে চান, তাদের জন্যও কিছু চিন্তার খবর রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
গুজরাটে তাপপ্রবাহ চলছে। সেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই একই হতে চলেছে। চৈত্র মাস আসতেই গরম বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। এই জেলাগুলির তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই গরমের মধ্যে দোলের আনন্দ একটু কম হতে পারে, কারণ গরমের তীব্রতা বাড়বে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গের চার জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে সহায়তা করবে। তবে, এর পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লিতে এখনও কিছুটা খামখেয়ালিপনা (Weather Latest Update) দেখা যাচ্ছে। মার্চ মাসেই দিল্লিতে মে মাসের মতো গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে, মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দিল্লিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। এর পাশাপাশি, আগামীকাল হোলির দিনে দিল্লিতে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে দিল্লির তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে। তবে, তাপমাত্রা কমার আগেই বৃষ্টির ফলে গরমের অনুভূতি বাড়বে।
১৩ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং হিমাচল প্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেখানে তুষারপাতও হতে পারে এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগঢ়, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থানে বজ্রপাত সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, যার প্রভাবে আগামী ১৩ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব অসম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এই সিস্টেমগুলির কারণে তীব্র বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ১৩ মার্চ অর্থাৎ আজ অসম এবং মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে বজ্রপাত সহ বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া (প্রতি ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগ) বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে গরমের প্রকোপ থাকবে।
অতএব, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া ভীষণভাবে অস্থির থাকবে। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন বা বাইরে যাত্রা করবেন, তাদের জন্য এটি কিছুটা অসুবিধা তৈরি করতে পারে। তাই, সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।