স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন আবেদন করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চের রায়ের ‘মডিফিকেশন’ চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি, যতদিন না নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, অথবা চলতি শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যন্ত ‘যোগ্য’ চাকরিহারীদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক।
২৫,৭৩৫ শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন WBBSE went to Supreme Court
২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসারে রাজ্য সরকার পোষিত এবং ভারপ্রাপ্ত স্কুলগুলির ২৫,৭৩৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। চাকরি চলে যাওয়ার পর এই প্রশ্ন উঠেছিল—এত বড় সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী যদি চাকরি হারান, তাহলে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন কীভাবে চলবে? কিছু স্কুলে একাধিক শিক্ষক-কর্মী চাকরি হারিয়েছেন, ফলে পাঠদান ব্যবস্থায় বিশাল সংকট তৈরি হয়েছে।
স্কুলে পঠনপাঠন চালানোর প্রশ্ন WBBSE went to Supreme Court
এই চাকরি হারানো শিক্ষকদের স্কুলে ফিরে আসার বিষয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে কোনো কার্যকর নির্দেশিকা আসেনি। ‘যোগ্য’ চাকরিহারীরা স্কুলে ফিরে আসবে কিনা, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত ছিল না। এই পরিস্থিতিতে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে নতুন আবেদন করেছে। তাদের অনুরোধ, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা চলতি শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যন্ত ‘যোগ্য’ চাকরিহারীদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক।
২০১৬ সালের নিয়োগে অযোগ্যদের চাকরি নিয়ে অভিযোগ WBBSE went to Supreme Court
২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিছু চাকরিপ্রার্থী সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়। হাই কোর্ট এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করে দেয়। পরে, সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ঘটেছে এবং এই কারণে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করা উচিত। তবে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, এত সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় ও পরবর্তী পদক্ষেপ WBBSE went to Supreme Court
সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করার রায় দেয়। তবে আদালত জানিয়েছে, যারা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের মাধ্যমে স্কুলে যোগদান করেছিলেন, তারা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। এছাড়া, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাইয়ের ব্যাপারে জটিলতা থাকায়, সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অযোগ্যদের বেতন ফেরত দিতে হবে, তবে যাদের অযোগ্যতা চিহ্নিত করা যায়নি, তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে না।
এখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে যাতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া বা চলতি শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যন্ত ‘যোগ্য’ চাকরিহারীদের চাকরিতে বহাল রাখা যায়।
West Bengal: WBBSE moves Supreme Court to modify the verdict on 26,000 SSC job cancellations, seeking clarity for eligible candidates. Amid widespread disruptions in schools, the Board requests continuity of jobs until the recruitment process or academic year concludes.