লোকসভা ভোটের মতো উপনির্বাচনেও (WB Bypoll 2024) বাংলার ৪ কেন্দ্রে ভোটদানের হার বেড়ে গেল। রাতারাতি প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে গেল ভোটের হার। এদিন পশ্চিমবঙ্গের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, চারটি কেন্দ্রেই ভোটের হার বেড়েছে। সার্বিক ভাবে চার কেন্দ্রে ভোটের হার ৬৬.৯৫ শতাংশ।
কোন কেন্দ্রে ভোটের হার কত? (বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত)
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার – ৬৭.১২ শতাংশ
নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার – ৬৫.৩৭ শতাংশ
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার – ৬৫.১৫ শতাংশ
কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার – ৫১.৩৯ শতাংশ
কোন কেন্দ্রে ভোটের হার কত? (বৃহস্পতিবারের চূড়ান্ত হিসেব অনুযায়ী)
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার – ৭১.৯৯ শতাংশ
নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার – ৭০.৫৬ শতাংশ
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার – ৬৮.৪৪ শতাংশ
কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার – ৫৪.৯৮ শতাংশ
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গতকাল যে ভোট শতাংশ প্রকাশ করেছিল, তা বিকেল ৫টা পর্যন্ত-র হিসেব। তারপরও এক ঘণ্টা ভোট হয়েছে। সেই কারণেই মোট ভোটের হারের হিসেব বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হল। কিন্তু সকাল থেকে ভোটের হার যা গতি ছিল, তাতে শেষ এক ঘণ্টায় ৪ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
অভিযুক্ত গুন্ডা জেলবন্দি, তবুও প্রাণনাশের ভয়ে ‘থরহরি কম্প’ তৃণমূল সাংসদের! তটস্থ পুলিশ
লোকসভা ভোটের সপ্তম দফায়ও ঠিক এভাবেই ভোটের হার বেড়ে গিয়েছিল। ৩ শতাংশ ভোট বেড়েছিল ৯ কেন্দ্রে। ভোটের দু-তিনদিন পরে ভোটদানের হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে অনেক আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় দফার ভোটের পর তিনি বলেছিলেন, কত শতাংশ ভোট পড়েছে প্রথম দুই দফায়। ৫ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির ভোট যেখানে কম, সেখানে ভোট বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমনকী নির্বাচনে কারচুপি করা হতে পারে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো একহাত নেন নির্বাচন কমিশনকে। মমতা সাফ জানিয়ে দেন, ভোট নিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। যেখানে ভোট কম পড়েছে, সেখানে বিজেপির ভোট ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিজেপির কমিশন নয়, নিরপেক্ষ কমিশন হোন। ইভিএম নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, মানুষের সন্দেহ দূর করুন।
রাজ্যে কমবে ডাক্তারি পড়ার আসন? মেডিক্যাল কলেজগুলিকে এনএমসি-র কড়া হুঁশিয়ারিতে শঙ্কা
ইভিএম কারা বানিয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফরাক্কার সভা থেকে তিনি বলেন, রাতারাতি ভোটের হার বেড়ে গেল। ইভিএম কারা বানিয়েছে, তা দেখা হোক। কীভাবেই বা ভোটের সংখ্যাটা বাড়ল, আমরা তা জানতে চাই। বিজেপির কমিশন নয়, নিরপেক্ষ কমিশন হন। কিন্তু লোকসভা ভোটের মতো বিধানসভা উপনির্বাচনেও ভোট শতাংশ বৃদ্ধির সেই একই ছবি দেখা গেল।