ভোট পিছিয়ে দিতে সায় রাজ্যের। কমিশনকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভোট পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই।
গতকাল বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছনো যায় কি না, তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলে হাইকোর্ট। কমিশনকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। আর এরপরেই হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্যের অবস্থান চায় নির্বাচন কমিশন। তারপরেই শনিবার কমিশনকে চিঠি পাঠায় রাজ্য।
সূত্র মারফত খবর, এদিন দুপুরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভোট পিছনোর কথা ঘোষণা করতে পারে কমিশন। সূত্র মারফত খবর, ২২ জানুয়ারির ভোট পিছিয়ে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে। এছাড়া অন্য পুরসভার ভোট হতে পারে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য একেবারে প্রস্তুত, চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভোট হোক।’
পুরভোট পিছিয়ে দিতে চান মমতা, চিঠি দিল সরকার। টিএমসি মহলে গুঞ্জন অভিষেকের ব্যক্তিগত মতকেই সায় দিলেন নেত্রী। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগণায় গিয়ে রিভিউ বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পর বলেছিলেন, এখন মেলা, খেলা, ভোট সব বন্ধ রাখা উচিত। দু’মাস সব বন্ধ রাখা উচিত। মানুষ বাঁচলে আমরা বাঁচব। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মত।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অভিষেকের কথাই মানলেন তৃণমূল সুপ্রিমো?


