বাংলাদেশ নিয়ে সতর্ক বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)। বাংলাদেশ ভবনের সমস্ত অনুষ্ঠান অনিবার্য কারণবশত বাতিল করে অন্যত্র স্থানে করার কথা ঘোষণা করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত বুধবার ২২ শ্রাবণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। এই দিনটিতে বিশ্বভারতীতে রবি-তর্পণ হয় বৃক্ষরোপণ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশ ভবনে ২২ শ্রাবণের অনুষ্ঠান নয় এবার। বদলে সেই অনুষ্ঠান হবে পুরানো মেলার মাঠে। মঙ্গলবারই বিশ্বভারতীর তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালানোর সময় আটক হাসিনার মন্ত্রী পলক
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইশে শ্রাবণের বৃক্ষরোপণ ও আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠানগুলি প্রথমে বাংলাদেশ ভবনে করার কথা ছিল। পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, বুধবারের অনুষ্ঠান স্থানান্তরিত করা হল পুরানো মেলার মাঠে। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ২৫ মে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন।
অবশেষে ‘স্বাধীনতা’র স্বাদ পেলেন জিয়া
এই বাংলাদেশ ভবনের মূল লক্ষ্যই হল ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের শিল্পকলা, ভাষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতির মেলবন্ধন আরও সুদৃঢ় করে পড়াশোনা ও গবেষণার কাজ করা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরিন্দম মণ্ডল বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনুষ্ঠান পুরনো মেলার মাঠে হবে। এর বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।’
প্রসঙ্গত বাংলাদেশ নিয়ে এইদিন বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ‘ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়েছেন।’ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ভারতীয় দূতবাসেও সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সোমবার রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এরপরই দফায় দফায় বৈঠক শুরু হয় নয়া দিল্লিতে। মঙ্গলবার সকালেও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, কী ভাবছে ভারত, সেই বিষয়েই সংসদে বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।