Visva Bharati: বিশ্বভারতীর শর্ত মানলেই পৌষমেলা হবে

অবশেষে পৌষমেলার মাঠ দেওয়ার জন্য রাজ্যের দিকে শর্ত ছুড়ে দিল (visva bharati) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা মামলা নিষ্পত্তির শর্ত দিয়ে। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়…

Visva Bharati campus not open

অবশেষে পৌষমেলার মাঠ দেওয়ার জন্য রাজ্যের দিকে শর্ত ছুড়ে দিল (visva bharati) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা মামলা নিষ্পত্তির শর্ত দিয়ে। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিশ্বভারতীর মাঠে বীরভূম জেলা প্রশাসনের মেলা করতে চাওয়ার প্রস্তাবে বিশ্বভারতী সম্মত হয়েছে। ওই মাঠে সুষ্ঠুভাবে মেলা করতে গেলে যে ক’টি বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয় সেই বিষয়গুলির প্রতি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশ্বভারতীর সম্মতির কথা বোলপুর মহকুমাশাসককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বছর পৌষমেলা করতে পারবে না জানিয়ে এর আগেই প্রেস বিবৃতি দেয় বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকল্প পৌষমেলা করার জন্য নির্দেশ দেন। সেই সূত্রে গত শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকও হয়। সেই আলোচনা পর্বেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পূর্বপল্লির পৌষমেলার মাঠেই বিকল্প পৌষমেলা হবে।

শুক্রবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ বিশ্বভারতীয় কাছে পৌষমেলার মাঠ চেয়ে আবেদন জানান। রবিবার রাজ্য প্রশাসনের চিঠির উত্তর পাঠায় বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অশোক মাহাতো। চিঠিতে মোট ১৩টি পয়েন্ট উল্লেখ করে শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

Advertisements

গোটা শর্তের অন্যতম হলো বিশ্বভারতী আধিকারিকদের উপর করা ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়া চিঠিতে রয়েছে, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট মেলার মাঠ ভাড়া বাবদ কুড়ি হাজার টাকা দিত-সেই অর্থ মহকুমা প্রশাসনকে দিতে হবে, সমস্ত দায়ভার ও খরচ এবং সর্বোপরি গ্রিন ট্রাইব‍্যুনালের শর্ত বা কোনও আইনি জটিলতার মধ্যে বিশ্বভারতী পড়বে না এবং মেলা শেষে মাঠ পরিষ্কার সমেত সব দায় রাজ‍্যকে নিতে হবে। এছাড়া মেলার সময় বিশ্বভারতীর কর্মী-অধ‍্যাপকদের পুলিশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

২০১৯ সালে তদানীন্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কর্মসচিব এবং পাঁচ জনেরও বেশি আধিকারিকের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় ফৌজদারি মামলা হয়। যেখানে রয়েছে শ্লীলতাহানি ও চুরির মতো অভিযোগও। সেই মামলার কয়েকটির উপরে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আছে। এখন বিশ্বভারতীর দাবি হলো, তার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি।