বীরভূমের কাঁকরতলা এলাকায় আবারও উত্তেজনা ছড়াল। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী শেখ নিয়ামুলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, শেখ নিয়ামুলকে মারধর করেছে শেখ কালো গোষ্ঠী এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই হামলার ঘটনার পেছনে গোষ্ঠীকোন্দল নয়, বরং পুরনো শত্রুতার হাত রয়েছে। তৃণমূলের একাধিক নেতা দাবি করেছেন, এই সংঘর্ষের কারণ রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরেই বারবার উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা হবে।
এদিকে, ঘটনাটি পুরোদমে তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য পুলিশের অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাঁকরতলা এলাকাটি বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। গত কয়েক মাসে এখানে বালির বখরার বিষয়ে বেশ কয়েকবার মারামারি এবং বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেই এই গোষ্ঠী কোন্দলের এক তৃণমূলকর্মীর পা বাদ গিয়েছে। অনেকেই দাবি করেছেন, এই সংঘর্ষের পেছনে বালির ব্যবসা নিয়েই মূলত দ্বন্দ্ব লুকিয়ে রয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনোভাবেই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি করা হবে না এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাসক দলের নেতারা নিশ্চিত করেছেন, যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে, বিরোধী দলগুলি আবারও শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের দিকে আঙুল তুলেছে। তারা দাবি করেছে, শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এমন অশান্তি তৈরি হচ্ছে। তাদের মতে, শাসক দলের এই দ্বন্দ্বের কারণেই রাজ্য জুড়ে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে।
এখন অপেক্ষা পুলিশের তদন্তের ফলাফলের ওপর। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটিত হলে, ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা পরিষ্কার হবে।