বুধবার সকালেই আতঙ্ক ছড়াল কলকাতার রাস্তায়। সাতটা নাগাদ বিদ্যাসাগর সেতুতে যাত্রীবোঝাই একটি বেসরকারি বাসে আচমকা আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাসে। দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়, ফলে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। তবে আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাসটি।
অ্যাপ্রোচ রোডে উঠতেই বিপত্তি
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাসটি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে উঠতেই সামনের দিক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আগুন লেগে যায় ইঞ্জিনের অংশে, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গাড়িতে। যাত্রী, চালক ও কন্ডাক্টরকে দ্রুত নামিয়ে আনেন স্থানীয় মানুষ ও ট্র্যাফিক পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হেস্টিংস থানার পুলিশ ও দমকলের দুটি ইঞ্জিন। প্রায় ৩৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে পুরো বাসটাই ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। সূত্রের খবর, মাত্র পাঁচ দিন আগেই বাসটি কেনা হয়েছিল।
চলাচল প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ Vidyasagar Setu Bus Fire
এই ঘটনায় বিদ্যাসাগর সেতুর কলকাতামুখী যান চলাচল প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকে। ফলে সকাল সকাল অফিসযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়েন শতাধিক নিত্যযাত্রী।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাজস্থানের জয়সলমিরে চলন্ত ভলভো বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জন যাত্রীর। কলকাতার বিদ্যাসাগর সেতুর এই ঘটনাও ফের প্রশ্ন তুলল চলন্ত বাসের অগ্নি–নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।