ভোটের (Lok Sabha Election) আগে ফের খবরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। এবার মাইকিং করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
ওই পোস্টে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল লিখেছেন, ‘নন্দীগ্রাম কালীচরণপুর। মাইকিং করে বিজেপি বলছে কোনো তৃণমূল সমর্থক 25 মে যেন ভোট দিতে না বেরোন।’ যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা kolkata24x7.in।
কুণালে পোস্ট করা ভিডিয়োয় বলা হচ্ছে, ‘…হার্মাদগিরি ছাড়িয়ে দেব। তুমি শাহজাহানের বন্ধু হয়েছ, যদি তুমি তৃণমূলের দালালি করতেছ, তুমি চামচাগিরি করতেছ, যারা তৃণমূলের সমর্থক রয়েছ, তোমরা ২৫ তারিখ বাড়িতে ভালোমন্দ রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করে ঘরে থাকবে। একটাও ভোট দেওয়ার জন্য কেউ বেরোবে না…’।
নন্দীগ্রাম কালীচরণপুর। মাইকিং করে বিজেপি বলছে কোনো @AITCofficial সমর্থক 25 মে যেন ভোট দিতে না বেরোন। pic.twitter.com/zCMlaYX1Jg
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) May 24, 2024
বিজেপির মহিলা কর্মীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত রয়েছে নন্দীগ্রাম। অভিযোগ, বুধবার সোনাচূড়ায় রাতপ্রহরা দেওয়ার সময় রথীবালা আড়ি নামে এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ছেলেকে মারধর করা হচ্ছে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন মা রথীবালা। তখনই ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় ওই মহিলাকে।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রথীবালার। তাঁর ছেলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। এই ঘটনা ঘিরেই ভোটের মুখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে একের পর এক দোকানে আগুন লাগানো হয়। আসবাবপত্রের দোকান থেকে আসবাব রাস্তায় নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া ধরানো হয় বলেও অভিযোগ। সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজারে রাস্তা অবরোধ করা হয় গাছ ফেলে।
বিক্ষোভকারীরা বিজেপির কর্মী-সমর্থক বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ বিজেপির নেতা, কর্মীদের অবরোধ তুলে নিতে একাধিকবার আবেদন করলেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত, উপস্থিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।