বর্তমানে বাজারে সবজির দাম (vegetable price) ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায়, বিশেষ করে গৃহস্থালির বাজেট পরিচালনা করতে অনেক পরিবারই সমস্যায় পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, সবজির দাম (vegetable price) ১০০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে টমেটো, যা এক সপ্তাহের মধ্যে ৩০ টাকা কেজি (vegetable price) থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পৌঁছে গেছে।
একইভাবে, পেঁয়াজ, যা আমাদের দৈনন্দিন রান্নার একটি অপরিহার্য উপকরণ, তা ৩৫ টাকা কেজি থেকে ৭০ টাকা কেজি (vegetable price) হয়ে গেছে। আলু, যা গত মাসে ৩০-৩৫ টাকা কেজি ছিল, এখন তা ৫৫-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ফুলকপি এবং শাকসবজি থেকেও বেড়েছে দাম (vegetable price)। এ সবের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি (vegetable price) কেজি পর্যন্ত বেড়েছে, যা বাড়ির দৈনিক খরচে আরও চাপ তৈরি করেছে। এই মূল্যবৃদ্ধি শুধু শহরের বাজারেই সীমাবদ্ধ নেই। অনলাইন বাজারেও একই অবস্থা। অনলাইনে সবজির দাম আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে টমেটো ৭০ টাকা কেজি, এবং শাকসবজি ৬৫, ৫৫, ৫০ এবং ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফলে, অনলাইনে সবজি কেনার প্রতি অনেক গ্রাহকই আগ্রহ হারাচ্ছেন।
জিনিসের দাম বাড়লে হয়তো বাজেট ম্যানেজ করা সম্ভব, কিন্তু এখন সবকিছুর দাম বেড়েছে। টমেটো, শিমলা মির্চ, ধনিয়া — এই সমস্ত খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে সবজির জন্য।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌসুমি পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শস্য উৎপাদনে ওঠানামা হয়। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে চাষীদের অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে, যার ফলে সরবরাহ কমে গিয়েছে। যখন সরবরাহ কমে যায়, তখন বাজারে চাহিদা বেশি থাকে এবং দাম বেড়ে যায়। যদিও আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দাম কমার সম্ভাবনা আছে, তবে তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
এই মূল্যবৃদ্ধি পরিবারগুলোর দৈনন্দিন জীবনে বড় চাপ সৃষ্টি করেছে। শোবা নাগেন্দরের মতো গৃহকর্মী যারা পরিবারের দৈনন্দিন খরচ মেটান, তাদের জন্য সমস্যা আরও গুরুতর। এমন পরিস্থিতিতে বাজেট পরিকল্পনা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। কিছু পরিবার সবজি খরচ কমাতে না হয় পরিমাণ কমাচ্ছে, না হয় কিছু সবজি বাদ দিয়ে অন্য বিকল্প খাচ্ছে। অনেকেই বাজারে যাওয়ার বদলে ছোটোখাটো প্যাকেট এবং বড় শাকসবজির পরিবর্তে ছোট পরিসরের সবজি কিনছেন।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রথমত, কৃষকদের জন্য ঋণ এবং সহায়তা ব্যবস্থা আরও কার্যকর করা দরকার, যাতে তারা সহজে ফসল চাষ করতে পারেন। এছাড়া, পাইকারি বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে বাজারে মূল্য স্থিতিশীল হতে পারে।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করা এবং তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করার সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে, বাজারের মূল্য অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।