সপ্তাহের প্রথম দিনে কতটা কমেছে সবজির দাম?

কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: পুজোর ছুটির মুখে কলকাতার সবজি বাজারে (Vegetable Price) সপ্তাহের প্রথম দিনে দাম কমার খবরে গৃহস্থালির মুখে হাসি ফুটেছে। বর্ষার অবশিষ্ট বৃষ্টি এবং…

Vegetable Price

কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: পুজোর ছুটির মুখে কলকাতার সবজি বাজারে (Vegetable Price) সপ্তাহের প্রথম দিনে দাম কমার খবরে গৃহস্থালির মুখে হাসি ফুটেছে। বর্ষার অবশিষ্ট বৃষ্টি এবং সরবরাহের ঘাটতির কারণে গত সপ্তাহে দাম আকাশছোঁয়া হলেও, আজ সোমবার কয়েকটি সবজির দামে উল্লেখযোগ্য কমতি দেখা গেছে। কোলে মার্কেট এবং মানিকতলা বাজারের খুচরা দর নিয়ে কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন ফসলের আগমন এবং পরিবহন স্বাভাবিক হওয়ায় দামে এই হ্রাস এসেছে।

Advertisements

তবে, কিছু সবজির দাম এখনও বেশি রয়েছে, যা মধ্যবিত্ত পরিবারের পকেটে চাপ সৃষ্টি করছে।আজকের বাজারে সবজির দামের তালিকায় বেগুনের দাম ১৩০ টাকা প্রতি কেজি, যা গত সপ্তাহের ১৭৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকা কমেছে। আদা ২৪০ টাকা থেকে কোনও পরিবর্তন নেই, কিন্তু সিম ৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা এবং কুমড়ো ২০ টাকা প্রতি কেজিতে স্থিতিশীল। ক্যাপসিকাম ১৯০ টাকা, ক্যারট ৬৫ টাকা প্রতি কেজিতে কমতি দেখা গেছে।

Advertisements

বিন্স ১১৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা। ঢেঁড়স ৩৫ টাকা এবং লাউ ২০ টাকা। ধনে পাতা পাতা ২০ টাকা বান্ডেল এবং পুদিনা ১০ টাকা। বড় পেয়াজ ৮০ টাকা এবং ছোট পেয়াজ ৭০ টাকা প্রতি কেজি। ফুলকপি ৫০ টাকা প্রতি পিস এবং কাঁচকলা ১০ টাকা প্রতি পিস।এই কমতির ফলে গৃহস্থালির রান্নাঘরে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।

সেপ্টেম্বরে কলকাতার সবজি দাম মিশ্রিত। আলু এবং ফুলকপির মতো আইটেমে প্রচুর উৎপাদনের কারণে দাম কমেছে, কিন্তু টমেটো এবং ঢোকলার দাম বন্যার কারণে বেড়েছে। ছোট পেয়াজ ৫০-৬৪ টাকা এবং টমেটো ৩০-৩৩ টাকা প্রতি কেজি। গত সপ্তাহে ছোট পেয়াজ ৬৫-৮৯ টাকা ছিল, যা আজ কিছুটা কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবরের দিকে নতুন ফসলের আগমনে দাম আরও স্বাভাবিক হবে।

বাংলাদেশি নাবালিকা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার ২ যুবক

কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে এবং সরবরাহ স্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাম কমার খবর নিয়ে আলোচনা চলছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সপ্তাহের শুরুতে সবজির দাম কমে স্বস্তি। পুজোর আগে এই খবর ভালো।” তবে, কেউ কেউ বলছেন, “আদা ২৪০ টাকা এখনও অনেক। সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।” এই কমতি সত্ত্বেও, গৃহস্থালির খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্কতা দরকার। বাজার নজরদারি বাড়িয়ে সরকার দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।