সাগরদিঘিতে জয়ের পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অভিযোগ তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেন যা অশালীনতার আওতায় পড়েছে। এর পর সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস নেতা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী (Kaustab Bagchi) কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা দীপক ঘোষের বইয়ের একাধিক অংশ উদ্ধৃত করে মুখ্যমন্ত্রীর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। শনিবার কৌস্তভকে গ্রেফতারের পর আইনজীবী মহলের যুক্তি কেন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড় দেওয়া হবে। তিনি কি আইনের উপরে?
ইতিমধ্যেই কৌস্তভের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪ এ এবং ১২০ বি ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়। কৌস্তভকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে একযোগে সরব হয়েছে বাম ও কংগ্রেস। বড়তলা থানার সামনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
সাগরদিঘির ফলপ্রকাশের দিনেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর গাড়ির ড্রাইভারের আত্মহত্যা, খুন নিয়ে যদি আমি বলি জোড়া খুন, কিছু বলতে পারবে? অনেক ঘটনা আমি জানি, আমার মুখ খোলাবেন না।
এরপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি বলেন, ‘দুটো হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছি। দীপক ঘোষ (মমতা কে নিয়ে যা লিখেছিলেন, তার সফট কপি চাইলেই যে কেউ পাবে। হুমকি ফোন আসছে। কোনও কিছু হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী থাকবে।
কৌস্তভের বক্তব্য, এদিন রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায়। সকালে পুলিশের আরও একটি দল পৌঁছয় কৌস্তভের বাড়িতে। গ্রেফতারের আগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারা দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের। গ্রেফতারের সময় কৌস্তভ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, গ্রেফতারির পর প্রতিক্রিয়া কৌস্তভ বাগচীর।