যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অশান্ত মধ্যপ্রাচ্য, দাবি আব্দুল্লাহর

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ (abdullah) সম্প্রতি ইসরায়েলের ইরানের উপর সামরিক হামলার ঘটনায় আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি মনে করেন, এই হামলার…

abdullah alleges us in middle east problem

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ (abdullah) সম্প্রতি ইসরায়েলের ইরানের উপর সামরিক হামলার ঘটনায় আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি মনে করেন, এই হামলার পেছনে কোনো স্পষ্ট কারণ ছিল না এবং আমেরিকা সম্ভবত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং যুক্তরাষ্ট্রের একনায়কতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়েছে। তাঁর মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।

ওমর আবদুল্লাহ (abdullah) বলেন, “ইসরায়েল কোন ভিত্তিতে ইরানের উপর হামলা চালিয়েছে, তা আমি বুঝতে পারছি না। মাত্র কয়েকদিন আগে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি নেই।

   

যদি আমেরিকা কয়েক সপ্তাহ আগে এই কথা বলে থাকে, তাহলে ইসরায়েল কেন ইরানের উপর হামলা চালাল? এর পেছনে কিছু রাজনৈতিক খেলা চলছে বলে মনে হয়। আমরা আশা করি এই সংঘাত বন্ধ হবে এবং সংলাপের মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই দুই দেশের সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ দীর্ঘদিনের। তবে, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক বিবৃতি অনুসারে, ইরান এখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের হঠাৎ হামলা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ।

ওমর আবদুল্লাহর (abdullah) বক্তব্যে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ পেয়েছে। তিনি মনে করেন, আমেরিকার নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ এই হামলার পেছনে প্রভাব ফেলতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার প্রভাব এবং ইসরায়েলের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের মৈত্রী সম্পর্ক সবারই জানা। ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে উত্তপ্ত। এই প্রেক্ষাপটে, ইসরায়েলের হামলাকে অনেকে আমেরিকার পরোক্ষ সমর্থন হিসেবে দেখছেন।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও, এই হামলার সময় এবং প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার বিবৃতির পর এই হামলা কেন ঘটল, তা নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওমর আবদুল্লাহর মতে, এই ধরনের সামরিক পদক্ষেপ শান্তির পরিবর্তে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার উপর জোর দিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতের প্রভাব কেবল ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ইরানের প্রতিক্রিয়া এবং এই হামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। ইরান ইতিমধ্যেই এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।

Advertisements

সামাজিক সুরক্ষায় চমক! বাড়ছে পেনশন! মাসে ১১০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার

ওমর আবদুল্লাহর (abdullah) বক্তব্যে শান্তির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, সংঘাতের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাঁর এই বক্তব্য ভারতের রাজনৈতিক মহলে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির একটি দিক তুলে ধরে।

ভারত সবসময়ই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে। ইরান ও ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ওমর আবদুল্লাহর মতো রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য এই বিষয়ে ভারতের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের এই ঘটনা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমেরিকার ভূমিকা, ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ এবং ইরানের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আগামী দিনগুলোতে আরও আলোচনা হবে। ওমর আবদুল্লাহর বক্তব্য এই সংঘাতের রাজনৈতিক দিকটি তুলে ধরেছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব হলো সংঘাত নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। ওমর আবদুল্লাহর (abdullah) বক্তব্য এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, সংলাপের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান সম্ভব হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরে আসবে।