শঙ্কর দাস, বালুরঘাট: সিকিমে (Sikkim) অতিবৃষ্টিতে ব্রিজ ভেঙে বিপদে বাংলার বহু পর্যটক। প্রায় দেড় হাজারেরও উপরে পর্যটক আটকে রয়েছেন। ইউমথাং লাচুং এলাকায় তিস্তার উপনদী লাচুং-নদীর উপরের ব্রিজ ভেঙে এই ঘটনা। গত ১৩ জুন প্রবল বর্ষণে লাচুং এর ব্রিজ ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে সিকিমের অন্যান্য এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে ইউমথাং এ বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন পর্যটকরা।
শুধুমাত্র লাচুং এলাকাতেই আটকে রয়েছেন বাংলার হাজার দেড়েক পর্যটক। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র, গুজরাটের আমেদাবাদের চন্দ্রশেখর জৈন, উঃ প্রদেশের বেনারসের মনোজ কুমার সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ভ্রমণ পিপাসু মানুষ।
১২ জুন তাঁরা সপরিবারে গ্যাংটক থেকে ইয়ুমভ্যালীতে থামে ঘুরতে গিয়েছিলেন। মহিলা ও শিশু সহ প্রত্যেকেই নিদারুন অসহায়তার মধ্যে রয়েছেন। ১৩ জুন প্রবল বৃষ্টিতে ঐ অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম লাচুং এর ব্রিজ ভেঙে ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ সম্পূর্ণ রূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিগত তিনদিনে নেই বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক। খাবারেরও সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি নেই পানীয় জলেরও তীব্র অভাব বলে আটকে পড়া পর্যটকরা জানিয়েছেন। অসহায় পর্যটকদের উদ্ধারের এগিয়ে এসেছেন উঃ পূর্ব ভারত উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি সরাসরি এনডিআরএফ, সেনা আধিকারিক এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং-এর সাথে কথা বলছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় আটকে পড়া বাংলার পুলিশ ইন্সপেক্টর শান্তনু মিত্র জানিয়েছেন গ্যাংটক থেকে গত ১২ জুন সপরিবার ইউমথাং ভ্যালিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। পরদিনই পুনরায় গ্যাংটকে ফিরে আসার কথা থাকলেও লাচুংএ ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় সমস্ত পর্যটক আটকে পড়েছেন। পায়ে হেঁটে স্থানীয় থানায় গিয়ে যোগাযোগ করলে সেখান পুলিশ জানিয়েছে যে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাঁরাও অসহায়। খারাপ আবহাওয়ায় সেনাবাহিনীও উদ্ধার কার্যে হেলিকোপটার পাঠাতে পারছে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের প্রচেষ্টায় সন্ধ্যের পর আইটিবিপির কমান্ডেন্ট সশরীরে তাঁদের সাথে দেখা করে আশ্বস্ত করেছেন যে যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের নিরাপদে গ্যাংটক পৌঁছে দেওয়া হবে।
উত্তরপূর্ব উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন সিকিমে আটকে পড়া বাংলার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য এলাকার সমস্ত পর্যটককে উদ্ধারের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং-এর সাথে কথা হয়েছে। একই সাথে এনডিআরএফ ও সেনা অধিকারীকের সাথেও কথা বলেছেন। তাঁদের লোকেশন চিহ্নিত করে প্রয়োজনে হেলিকোপটার নামিয়ে গ্যাংটকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে।