উলটো রথে জনস্রোত, মোতায়েন এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স

দিঘা: আজ শনিবার, দিঘায় পালিত হচ্ছে পবিত্র উলটো রথযাত্রা (Ulto Rath Yatra)। মাসির বাড়ি থেকে মূল মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা। এই উপলক্ষ্যে সৈকত…

দিঘা: আজ শনিবার, দিঘায় পালিত হচ্ছে পবিত্র উলটো রথযাত্রা (Ulto Rath Yatra)। মাসির বাড়ি থেকে মূল মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা। এই উপলক্ষ্যে সৈকত শহর জুড়ে নেমেছে উৎসবের আমেজ, সঙ্গে থাকছে কড়া নিরাপত্তা।

Advertisements

উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে দিঘা জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্ট কমিটি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। রথযাত্রার মতই উলটো রথেও (Ulto Rath Yatra) সমান গুরুত্ব দিয়ে রক্ষিত হচ্ছে ধর্মীয় আচার ও প্রথা। দুপুর ২টো নাগাদ মহাপ্রভুকে রাজভোগ দেওয়ার পর রথ টানার কাজ শুরু হবে। মাসির বাড়ি থেকে শুরু করে মূল মন্দির পর্যন্ত পথ সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। থাকছে ড্রোনের নজরদারি এবং ওয়াচটাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ।

   

পুলিশ সূত্রে খবর, এই বছর রথযাত্রার তুলনায় উলটো রথে ভিড় আরও বেশি হতে পারে। কারণ একদিকে আজ শনিবার, তার উপর দিঘার সাধারণ পর্যটন ভিড়ের সঙ্গে মিশে গিয়েছে উলটো রথের দর্শনার্থীরা। শুক্রবার বিকেল থেকেই দিঘার সমুদ্র পাড়ে জমে উঠেছে ভিড়। অধিকাংশ হোটেল ইতিমধ্যেই হাউসফুল।

নিরাপত্তা নিয়ে কোনও রকম আপস করতে নারাজ প্রশাসন। ডিএসপি ডি অ্যান্ড টি আবুনূর হোসেন জানান, “রথযাত্রা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা, ড্রোন ও ওয়াচটাওয়ারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স।”

পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে দিঘায় মোতায়েন করা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের। সকাল থেকে তাঁরা রাস্তায় থাকছেন। হেলিপ্যাড ময়দানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। দিঘায় আগত দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ইতিমধ্যেই দিঘায় এসে পৌঁছেছেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী দিঘায় এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।

মূল মন্দিরে পৌঁছানোর পর তিন ভাই-বোন রথেই থাকবেন তিনদিন, চলবে পুজো-অর্চনা। ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে দর্শন ব্যবস্থা, তবে সবটাই নিয়ন্ত্রিত ও সীমিতভাবে। উলটো রথ উপলক্ষে দিঘার এই উৎসব ও ভিড় কার্যত মেলায় পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় আবেগ ও প্রশাসনিক নজরদারি একসঙ্গে মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এক সুচারু ব্যবস্থাপনা।