একই রাতে দুটি এটিএম লুঠ, ধৃত হরিয়ানার ২ যুবক

মিলন পণ্ডা, রামনগর: একই রাতে দুটি রাষ্ট্রয়ো ব্যাঙ্কের এটিএম-এ চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় অবশেষে হরিয়ানা রাজ্যের দুই যুবককে (Haryana Youth) গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিল রামনগর…

একই রাতে দুটি এটিএম লুঠ, ধৃত হরিয়ানার ২ যুবক

মিলন পণ্ডা, রামনগর: একই রাতে দুটি রাষ্ট্রয়ো ব্যাঙ্কের এটিএম-এ চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় অবশেষে হরিয়ানা রাজ্যের দুই যুবককে (Haryana Youth) গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিল রামনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন হরিয়ানার নুজেলা এলাকার বাসিন্দা শাহরুখ খান ও ইমামিন আলি। বৃহস্পতিবার দুই অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে এক গভীর রাতে রামনগরের দেউলিহাট ও বালিসাই বাজার এলাকার রাষ্ট্রয়ো ব্যাঙ্কের দুটি এটিএমে পরপর ডাকাতি হয়। দুই ব্যাঙ্কের এটিএম মেশিন ভেঙে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরদিন সকালে রামনগর থানায় দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই তদন্তে নামে পুলিশ, তবে প্রথমদিকে কোনও কুলকিনারা করতে পারেনি।

   

এর কিছুদিন পর হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া এলাকায় আরও একটি এটিএম ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেখানকার থানার পুলিশ তদন্তে নেমে হরিয়ানা রাজ্যের দুই যুবক শাহরুখ খান ও ইমামিন আলিকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের ডাকাতির প্রসঙ্গ। এরপরেই রামনগর থানার পুলিশ হুগলি জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তদন্তের স্বার্থে দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে চায়।

বৃহস্পতিবার, হুগলি জেলা পুলিশ অভিযুক্তদের কাঁথি আদালতে হাজির করে। সেখানে রামনগর থানার পক্ষ থেকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়, যা বিচারক মঞ্জুর করেন।

রামনগর থানার তদন্তকারী আধিকারিক তাপস বর্মণ জানান, “তদন্তের স্বার্থে দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুরো চক্রটি উন্মোচনের চেষ্টা চলছে। আপাতত তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে, এখনও কিছু বলার সময় আসেনি।”

Advertisements

পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, এই দুই যুবক একটি সুসংগঠিত আন্তঃরাজ্য ডাকাত চক্রের সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁদের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এটিএম ডাকাতির সময় ব্যবহার হওয়া যানবাহন ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চক্রের মূল পান্ডাদের খোঁজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে ছিলেন রামনগরের ব্যবসায়ী মহল এবং সাধারণ মানুষ। পুলিশি তৎপরতায় অবশেষে গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষ।

এই ঘটনায় এটিএম পরিষেবা সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির বিষয়ে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করছেন।