শুভেন্দু গড়ে ভাঙন! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নন্দীগ্রামের দুই নেতা, ধাক্কা বঙ্গ বিজেপির

নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সময় যে দুই নেতা প্রথম সারিতে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অশোক করণ এবং দেবাশিস দাসের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুই নেতা তৃণমূলের (TMC)…

two bjp leaders left party and joined tmc from nandigram of east mednipur district
নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সময় যে দুই নেতা প্রথম সারিতে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অশোক করণ এবং দেবাশিস দাসের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুই নেতা তৃণমূলের (TMC) হয়ে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনে অংশ নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তবে, বিজেপির মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার ফলে রবিবার এক চমকপ্রদ ঘোষণা আসে। দলের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিজেপি (BJP) ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
 

 

অশোক করণ এবং দেবাশিস দাসের দলত্যাগে নন্দীগ্রামে শোরগোল পড়েছে। তারা শুধু বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেননি, বরং দলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ করে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, বিজেপির কিছু নেতার কর্মকাণ্ড দলের আদর্শের বিপরীত, এবং সেই কারণেই তারা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর সঙ্গে সঙ্গে, তারা বিজেপির সর্বোচ্চ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

   

অশোক করণ এবং দেবাশিস দাস, বিজেপি ত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছেন যে, দলের মধ্যে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার ঘাটতি তারা অনুভব করছেন। তারা দাবি করেছেন, নন্দীগ্রাম অঞ্চলে দলের মধ্যে বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং তাদের পক্ষে এই পরিস্থিতিতে আরও দলের সঙ্গে থাকাটা সম্ভব নয়।

ছাব্বিশে তৃণমূলের জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা: তথাগত রায়

তবে, বিজেপি থেকে তাদের পদত্যাগের পরপরই দলটির তরফ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিজেপি তাদের পদত্যাগকে রাজনৈতিক মঞ্চে “অল্প জনপ্রিয়তার” ইঙ্গিত হিসেবে দেখে এবং বলছে যে, এই দুই নেতার দলত্যাগ কোনো বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না। বিজেপির বক্তব্য, এই ধরনের দলত্যাগ প্রকৃত দলের উন্নতির পথে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না, এবং দলের কর্মীরা তাদের নেতৃত্বের প্রতি অটুট থাকবেন।

অন্যদিকে, অশোক করণ এবং দেবাশিস দাসের বিজেপি ত্যাগের সিদ্ধান্ত নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক চিত্রে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে। তাঁদের ইঙ্গিত অনুযায়ী, তারা দ্রুত তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এটি যদি বাস্তবে ঘটে, তবে নন্দীগ্রাম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে, শুভেন্দু অধিকারী যে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার অন্যতম মুখ, তার বিরুদ্ধে দুই পুরনো দলের নেতার এমন অবস্থান একেবারে নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করবে।

বাংলাদেশ অশান্ত, রাজ্যেকে সন্ত্রাসের ‘বধ্যভূমি’ হতে দেব না, আশ্বাস রাজীব কুমারের

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি, তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলটি যে এই দুই নেতার যোগদানকে স্বাগত জানাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ যে তৃণমূলের জন্য নতুন শক্তি সৃষ্টি করতে পারে, তা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।