কলকাতা: শিক্ষক দিবসের দিন দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রি পরিচালিত সিনেমা “দ্য বেঙ্গল ফাইলস”। তবে ছবিটি দেখানো নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা। এই নিয়ে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ।
বাংলার হলে এখনও ছবিটি না দেখানো নিয়ে সংবাদসংস্থাকে দীলিপ ঘোষ বলেন, “সত্যকে চাপা দেওয়া যাবে না। সমগ্র দেশজুড়ে দ্য বেঙ্গল ফাইলস ছবিটি দেখা হচ্ছে। বাংলার মানুষও অনলাইনে সিনেমাটি দেখবেন।” সেইসঙ্গে দীলিপের কটাক্ষ, “যত বেশি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে, মানুষ ততই ছবিটি দেখতে চাইবে”। উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালে বাংলার টালমাটাল পরিস্থিতির পটভূমিকায় বিশেষত ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ এবং ‘নোয়াখালী গণহত্যা’ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri) “দ্য বেঙ্গল ফাইলস”।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, শাশ্বত চ্যাটার্জি, সৌরভ দাস, অনুপম খের, পল্লবী জোশী, দর্শন কুমার, পুনীত ইসসার, গোবিন্দ নামদেব, মোহন কাপুর, পালোমি ঘোষ, দিব্যা পালত সহ অন্যান্যরা। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবিটির প্রযোজনাও করেছেন পল্লবী জোশী। মুক্তির আগেই ছবিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। শাসকদল তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে ছবির মুক্তি নিয়ে তুমুল বিরোধিতা করে। এর আগে ট্রেলার মুক্তির দিনেই কলকাতা পুলিশ তা বন্ধ করে দেয়। তাই নিয়ে শুরু হয় বিজেপি-তৃণমূল তর্জমা।
“বিজেপি-ঘেঁষা” বলে পরিচিত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী “দ্য কাশ্মীর ফাইলস”-এর পর “দ্য বেঙ্গল ফাইলস”-এর মাধ্যমে ফের সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন বলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৮ আগস্ট তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের পঞ্চ থেকেও ছবির নির্মাতা সহ বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। তবে কোনও জিনিসকে ‘নিষিদ্ধ’ করলে মানুষের সেটি দেখার প্রতি ঝোঁক বাড়ে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সেইসঙ্গে “শিল্পের স্বাধীনতা” নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
দ্য বেঙ্গল ফাইলস না দেখানর জন্য পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাহলের ডিস্ট্রিবিউটরদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ডিস্ট্রিবিউটরদের চাপ দেওয়া হলে তাঁরা নিশ্চয়ই এই বিষয়ে মন্তব্য করত। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে দ্য বেঙ্গল ফাইলসের শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তি করানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন ছবির প্রযোজক পল্লবী জোশী।