BJP: অপরাধ জল আনতে যাওয়া! বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

ফের আক্রান্ত বিজেপি (BJP)। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত…

Tamluk-Hospital

ফের আক্রান্ত বিজেপি (BJP)। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৃন্দাবনচক গ্রামের ঘটনা। যদিও অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

শুক্রবার বিকালে বৃন্দাবনচক গ্রামের বিজেপি কর্মী সঞ্জয় ঘোড়াই ও তাঁর স্ত্রী জল আনতে সাবমার্সিবলে যান। অভিযোগ, সেই সময় কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দম্পতির কাছে জল নিতে আসা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এই কল কোন সরকারের আমলে বসানো হয়েছে, সেই কৈফিয়তও চান তারা। এরপরেই বিজেপি কর্মীর সঙ্গে তৃণমূলের লোকেদের বচসা বেঁধে যায়। সেই সময় বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

   

মারধরের ঘটনায় বিজেপি কর্মী ও তাঁর স্ত্রী গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রামের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের।

তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সদস্য সুদীপ দাস বলেন, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বৃন্দাবনচকের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী সঞ্জয় ঘোড়াই ও তাঁর স্ত্রী কলে জল আনতে গিয়েছিল। সেই সময় তাঁদের বেধড়ক মারধর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কাদের আমলে ওই কল তৈরি হয়েছিল, তার জবাব চেয়েছে তৃণমূলীরা। ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূলী হামলা ততই বাড়ছে। লোকসভা ভোটে নন্দীগ্রামের মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।

যদিও এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, বিজেপি কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আদি ও নব্য বিজেপির দ্বন্দ্বে ওরা জর্জরিত। বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপির পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে।

নন্দীগ্রাম থানায় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।