ধরা পড়ল তৃণমূল নেতা তাজম্মুল জেসিবি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে এক মহিলাকে মারধর করার। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে প্রবল অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ধৃত জেসিবি চোপড়ার (Chopra) বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার এই ভাইরাল ভিডিওতে দেশ আলোড়িত। জেলা সিপিআইএম সর্বপ্রথম দাবি করে জেসিবি একজন তৃণমূল নেতা। চাপের মুখে অভিযুক্ত জেসিবির সঙ্গে দলের ঘনিষ্ঠতা স্বীকার করে নেন বিধায়ক হামিদুল রহমান।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মারধর করার সময় মহিলা রাস্তায় পড়ে চিতকার করছেন। তার আর্তনাদ দেখছে অনেকে। এক পুরুষকেও লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে। জানা গেছে,যে মহিলাকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে সে বিবাহিত। অভিযোগ ওই মহিলা বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িত। সে তার প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছিল। পরে ফিরে এলে দু’জনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। জরিমানা না দেওয়ায় তাদের উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, জেসিবি ওরফে তাজম্মুলকে রবিবার চোপড়া এলাকাতেই ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে তাকে। ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস জানান, দিন দুয়েক আগে ওই মহিলাকে চোপড়া থানা এলাকার লক্ষ্মীপুরে মারধর করা হয়। রবিবার ঘটনাটির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে।
উত্তর দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি কানাহাইয়ালাল আগরওয়াল বলেছিলেন, জেসিবিকে গ্রেফতার করা হোক। এরপরেই গ্রেফতার করা হল তাকে। তবে জেলা সিপিআইএমের কটাক্ষ, ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে না এলে তৃণমূল নেতা এই কাণ্ড ঘটানোর পরেও গ্রেফতার হত না।
রবিবার সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ভিডিয়োটি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘‘সালিশি সভাও নয়। অপরাধের বিচার এবং শাস্তি দিচ্ছে তৃণমূলের পোষা গুন্ডা। যার ডাকনাম জেসিবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে এ ভাবেই বিচার ব্যবস্থাকে দুরমুশ করা হচ্ছে চোপড়ায়।’’ শুরু হয় বিতর্ক।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম জেসিবি। সে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের পেটোয়া দুষ্কৃতি বলে উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিআইএমের দাবি। জেলা সিপিআইএম সম্পাদক ও প্রাক্তন মন্ত্রী আনোয়ার উল হক জানিয়েছেন, যে মারছেন তার নাম তাজম্মুল ওরফে জেসিবি।
চাপের মুখে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান জানান, মারধরে অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল সমর্থক। পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি হবে।